ময়মনসিংহ উত্তর জেলা কৃষক দলের  সদস্য সচিব বহিষ্কার

ময়মনসিংহ উত্তর জেলা কৃষক দলের  সদস্য সচিব বহিষ্কার

ময়মনসিংহ জেলা উত্তর কৃষক দলের সদস্য সচিব শাহ মুহাম্মদ আলীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে ঘটনাটি ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন এ নেতা।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) কেন্দ্রীয় কৃষক দলের দপ্তর সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদ থেকে তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।         

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগের ভিত্তিতে শাহ মুহাম্মদ আলীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে তার সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার অনুরোধ করা হয়েছে।  

খবরের সত‍্যতা নিশ্চিত করে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আবুল বাশার আকন্দ বলেন, দলের সঙ্গে বেইমানি করার কারণে তাকে (মুহাম্মদ আলীকে) বহিষ্কার করা হয়েছে।  

তবে শাহ মুহাম্মদ আলী বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেছিলাম গত ২০ আগস্ট। মামলাটি লেখালেখি থেকে সব কিছু করেছেন আমার সংগঠনের আহ্বায়ক অ‍্যাডভোকেট আবুল বাশার আকন্দ। কিন্তু পরে জানতে পারি, মামলার এজাহারে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তিনজন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকে আসামি রাখা হয়েছে। এ কারণে গত ২৫ আগস্ট আমি আদালত থেকে মামলাটি প্রত্যাহার করে নিই। শপথ করে বলতে পারি, এর বাইরে আমি দলের শৃঙ্খলাবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত নই।

কিন্তু আমাকে মিথ‍্যা ও ভুল তথ‍্যের ভিত্তিতে ষড়যন্ত্র করে বহিষ্কার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব‍্যবস্থা নেবে বলে আশা করছি, বলেন তিনি।  

এর আগে গত ২০ আগস্ট আদালতে মামলার আবেদন করেন জেলা উত্তর কৃষক দলের সদস্য সচিব শাহ মুহাম্মদ আলী। বিগত ২০ জুলাই কৃষক সাইফুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় এ মামলাটির আবেদন করা হয়েছিল। সে মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী ও ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শরীফ আহমেদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানসহ ৬৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। এছাড়া অজ্ঞাত পরিচয় আরও ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছিল। এসময় আদালত এ ঘটনায় আগে কোনো মামলা হয়েছে কিনা জানতে চেয়ে ফুলপুর থানার ওসিকে পাঁচদিন সময় দেন। কিন্তু এর মধ্যে গত ২৫ আগস্ট বাদী মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করেন।  

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023 EU BANGLA NEWS