বিএনপির যুগ্ন-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন বলেছেন, আওয়ামী লীগের বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো নৈতিক অধিকার তাদের নেই। এ দলকে বিলুপ্ত করতে হবে।তাদের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকাররের কাছে মানুষের এটা প্রত্যাশা।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ স্বৈরাচারী দল। শেখ হাসিনা খুনি। দেশের হাজার ছাত্র-জনতা রক্ত ঝরিয়ে সে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চেয়েছিল। তাই এ দলের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। তারা গণহত্যাকারী। তারা সাড়ে ৬শ মানুষকে হত্যা করেছে। তাদের বিরুদ্ধে এদেশের লক্ষ কোটি জনগণ। তাইতো দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভুথানের মধ্যে দিয়ে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। আন্তজার্তিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে প্রকাশ্যে এ গণহত্যার অভিযুক্তদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নরসিংদীতে নিহত এন কে এম হাই স্কুল অ্যান্ড হোমস্ এর নবম শ্রেণির ছাত্র তাহমিদের কবর জিয়ারত শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় চিনিশপুরের পারিবারিক কবরস্থানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে তিনি নিহত তাহমিদের বাড়িতে যান। তার মা-বাবা আত্মীয় স্বজনদের সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে তাহমিদ হত্যার বিচারের আশ্বাস দেন। ওই সময় তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তা বাদী দল বিএনপির পক্ষ থেকে নিহতের পরিবারকে ১ লক্ষ টাকার আর্থিক সহায়তা করেন।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মঞ্জুর এলাহী, শহর বিএনপির সভাপতি গোলাম কবির কামাল, যুবদল সভাপতি মহসিন হোসেন বিদুৎ, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও যুবদল নেতা আব্দুল রউফ ফকির রনি, যুবদল নেতা চৌধুরী সুমন, চিনিশপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভপতি আওলাদ হোসেন, জেলা ছাত্রদল সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ, নিহত তাহমিদের বাবা রফিক ডাক্তারসহ বিএনপি , যুবদল ছাত্রদল সহ বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এর আগে কয়েক হাজার মোটরসাইকেল ও গাড়ি বহর নিয়ে মাধবদী থেকে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনকে বরণ করে নিয়ে আসেন নেতাকর্মীরা। পরে তিনি কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে মাধবদীসহ পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করেন।