মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলছেন, নরসিংদী জেলা কারাগারে জঙ্গিদের ছিনিয়ে নিতে হামলা করা হয়েছিল। এ ঘটনায় জড়িতদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে পাঁচদোনায় সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেসব স্থাপনা তৈরি করেছেন, সেগুলোর ওপর হামলা করছে দুষ্কৃতিকারীরা। তারা বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করতে চেয়েছে। যেন তাদের প্রভুকে দেখাতে পারে। তারা চেষ্টা করছে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালের সেই পরাজিত শক্তি জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা মুক্তিযুদ্ধকে মেনে নিতে পারেনি। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতে চায়।
এ সময় তিনি রাজাকারদের তালিকা প্রস্তুত করে কমিটির মাধ্যমে তা বাস্তবায়নে আহ্বান জানান।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, আদালত বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ৫ শতাংশ কোটা দিয়েছেন, এটাকে আমরা স্বাগত জানাই।
দেশে অরাজক পরিস্থিতির বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আরও বলেন, যারা দেশে তাণ্ডব চালিয়েছে, তারা কখনও ছাত্র হতে পারে না। তারা ছিল বিএনপি-জামায়াত রাজাকারের দল। তাদের কার্যকলাপে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। কারণ আমাদের প্রাণের প্রতিষ্ঠান মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে আঘাত করেছে। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি বিএনপি-জামায়াত, শিবির ও ছাত্রদলের ক্যাডাররা এ আঘাত করেছে।
নরসিংদী জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড. বদিউল আলমের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান, নরসিংদী সদর আসনের সংসদ সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম (বীর প্রতীক), মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) হেলাল মোর্শেদ, নরসিংদীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম তালেব হোসেন, নরসিংদী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, সেক্টর কমান্ডার ফোরাম ৭১’ এর নরসিংদী জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালিব পাঠান, রায়পুরা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার নজরুল ইসলাম, পাঁচদোনা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান প্রমুখ।