ঈদে সবাই চায় নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে। এজন্য থাকে নানা প্রস্তুতি আর আড়ম্বর। কিন্তু হাত পা সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে অবাঞ্ছিত লোম নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। অথচ এটা কোনো সমস্যাই নয়। শরীরের অবাঞ্ছিত লোম দূর করার জন্য বাজারে হেয়ার রিমুভাল ক্রিম পাওয়া যায়। এই ক্রিম ব্যবহার করলেই শরীরের অবাঞ্ছিত লোম দূর হয়ে যায় সহজেই।
শরীরের অবাঞ্ছিত লোম দূর করার জন্য বাজারে বিভিন্ন ধরণের হেয়ার রিমুভাল ক্রিম পাওয়া যায়। কিন্তু আপনার জন্য কোনটি সঠিক তা নির্ণয় করবেন কীভাবে? হেয়ার রিমুভাল ক্রিমে যেসকল উপাদান থাকে তা আপনার ত্বকের জন্য উপযুক্ত কিনা তাও জানা প্রয়োজন। এজন্য প্যাচ টেস্ট করা প্রয়োজন। ভিট ক্রিম পাওয়া যায় ৩ ধরনের ত্বকের জন্য। সাধারণ, শুষ্ক আর সংবদনশীল ত্বকের জন্য বিশেষ উপাদান দিয়ে তৈরি ৩টি ক্রিম থেকে সহজেই আপনার ত্বকের ধরণ অনুযায়ী একটি বেছে নিতে পারেন। এছাড়াও আছে ভিট নিখার; যার প্রাকৃতিক উপাদান আপনার ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সাহায্য করে
একটি জিজ্ঞাসা?
অনেকের মনেই একটা প্রশ্ন আসতেই পারে। তাহলো হেয়ার রিমুভাল ক্রিমের কি কোন সাইড এফেক্ট রয়েছে? চর্ম বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরের কোমল জায়গায় হেয়ার রিমুভাল ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। কারণ, এ জাতীয় ক্রিমের মধ্যে কেমিক্যাল থাকে। যা ত্বকে অনেক সময় সহ্য হয় না। মুখের চামড়া, গোপনাঙ্গ বা অন্যান্য সেন্সিটিভ জায়গায় হেয়ার রিমুভাল ক্রিম লাগালে জ্বালা, যন্ত্রণা এবং অ্যালার্জির মতো সমস্যা হতে পারে। কাজেই এব্যাপারে সতর্ক থাকবেন।
হেয়ার রিমুভাল ক্রিম ত্বকে কতক্ষণ লাগিয়ে রাখা উচিত? শরীরের লোম তুলে ফেলতে হেয়ার রিমুভাল ক্রিম ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাগিয়ে রাখলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। চামড়া পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ত্বক ফুলে যেতে পারে।
কতদিন অন্তর হেয়ার রিমুভাল ক্রিম ব্যবহার করা উচিত? এই প্রশ্নের সহজ উত্তরÑ শরীরে লোম ও তার ঘনত্ব অনুযায়ী একেক জনের ক্ষেত্রে হেয়ার রিমুভাল ক্রিম ব্যবহারের নিয়মটাও একেকরকম। লোম বেশি ঘন হলে সপ্তাহে একবার রিমুভাল ক্রিম ব্যবহার করা উচিত। সাধারণত মাসে একবার ব্যবহার করলেই ভালো।
সতর্কতা
ক্রিম কোনভাবেই প্যাকেটে উল্লেখিত সময়ের বেশী ত্বকে লাগিয়ে রাখবেন না, সর্বোচ্চ কতক্ষণ রাখা যাবে তা ক্রিমের প্যাকেটের গায়ে বা বক্সে লেখা থাকে।
মুখের ত্বকে, জেনিটাল এরিয়ায়, ও ক্ষতের উপরে ক্রিম লাগানো যাবে না।
ব্যবহারের আগে অল্প একটু স্থানে পরীক্ষামূলকভাবে লাগিয়ে দেখুন। এলার্জি হলে বা চুলকালে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। রাসায়নিক জিনিস হওয়ায় ক্রিম ব্যবহারের পরে সাবান বা শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না।
নিয়মাবলী
১. শরীরের যে স্থানের লোম তুলবেন সেই স্থান পানি দিয়ে ধুয়ে তোয়ালে দিয়ে ভাল করে শুকিয়ে নিন, ত্বকে তেল
থাকলে সাবান দিয়ে ধুয়ে পানি দিয়ে পরিস্কার করতে হবে।
২. প্যাকেটের সাথে আসা স্পেচ্যুলাটারের ছোট প্রান্তটা হাতে ধরে বড় প্রান্তের বাইরের দিকে ক্রিম লাগিয়ে লোমের দিক যেদিকে সেই দিক বরাবর টেনে নিয়ে ত্বকের উপরে প্রলেপ দিন।
৩. ৩ মিনিট বা প্যাকেটে লেখা সময় পর্যন্ত এই প্রলেপ রেখে দিন।
৪. এবার স্পেচ্যুলারের বড় প্রান্তের ভেতরের দিক ব্যবহার করে লোমের দিক যেদিকে সেই দিক বরাবর টান দিয়ে লোম তুলে ফেলুন।
৫. এবার ভাল করে ত্বক পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।