বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মিথ্যাচার, অপরের ওপর দোষারোপ এবং জনগণের সঙ্গে প্রতারণাই হলো আওয়ামী চরিত্রের ভূষণ। বুধবার (২৪ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে মদদ দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করে দেশব্যাপী বিএনপি ও বিরোধী দল, যুগপৎ আন্দোলনসহ জামায়াত নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, কারান্তরীণ ও হয়রানির নিন্দা জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার এখন নিজেদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ধামাচাপা দিতে বিদেশিদের কাছে মায়াকান্না শুরু করেছে। সারা দেশে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষ, যাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, তারা কেউই শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত নয়। আশ্চর্যের বিষয় হলো, প্রতিবন্ধী শিশু, পথচারী এমনকি প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিরীহ শিক্ষার্থীদের হত্যার দায় থেকে মুক্তি পেতে আওয়ামী সরকারের মন্ত্রী-নেতা ও প্রজাতন্ত্রের কিছু কর্মকর্তা মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক বক্তব্য দেওয়ার মাধ্যমে চলমান ঘটনাকে আড়াল করতে এবং ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের ভাবমূর্তি নষ্টের চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের যৌক্তিক আন্দোলনে দেড় শতাধিক ছাত্র-জনতাকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যায় পর দোষীদের আইনের আওতায় না এনে নির্দোষদের ওপর জুলুমের খড়্গ চালানো হচ্ছে। হত্যাকারী ও হামলাকারীদের অবিলম্বে আইনের মুখোমুখি দাঁড় করার জন্য আমি জোর আহ্বান জানাচ্ছি।
মির্জা ফখরুল বলেন, নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে গ্রেপ্তার, কারান্তরীণ এবং হয়রানীর ঘটনায় প্রতীয়মান হয় যে, আওয়ামী কর্তৃত্ববাদী সরকার এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। নিত্যপণ্যের মূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতি এবং গণবিরোধী সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসনে জর্জরিত মানুষ আর এক মুহূর্তের জন্যও আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চায় না।
তিনি বলেন, পরিকল্পিতভাবে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও কারফিউ জারির মাধ্যমে সরকার দেশের জনগণের সঙ্গে অঘোষিত যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। বিএনপি সবসময়ই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সংগ্রামে বিশ্বাসী। দলটি গণতন্ত্র ও জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সবসময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।