আন্দোলনের এক পর্যায়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়, বিঘ্নিত করা হয় মানুষের জানমালের নিরাপত্তা। ফলে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের কঠোর হওয়া ছাড়া কোনো উপায় ছিল না।
তবে সরকার কঠোর হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে, যারা বাংলাদেশ টেলিভিশন, মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় আক্রমণ করেছে এবং ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। আর এসব করেছে বিএনপি ও জামায়াত। শিক্ষার্থীরা এসব করেননি।
বিএনপি-জামায়াত যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, এর তথ্যপ্রমাণ আমরা পেয়েছি। সব ঘটনার ভিডিও ফুটেজ তার প্রমাণ দিচ্ছে। এ ছাড়া সারা দেশ থেকে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীরা ঢাকায় যাত্রাবাড়ী, টঙ্গী, গাজীপুরসহ বিভিন্ন পকেটে অবস্থান করেন কয়েক দিন ধরে। এসব পকেট এলাকাতেই সহিংসতা বেশি হয়েছে। ফলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার।
আন্দোলনের এক পর্যায়ে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থাপনায় আক্রমণ করে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর ক্ষেত্রে সংগঠিত শক্তি ও পরিকল্পনা ছিল। বিএনপি ও জামায়াত ছাড়া শিক্ষার্থীদের পক্ষে এসব করা সম্ভব নয়। বিভিন্ন অপপ্রচারও চালানো হয়েছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া পোস্ট দেওয়া হয়েছে। যেমন একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঢাকায় নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূতের নামে ভুয়া পোস্ট দিয়ে চেষ্টা করা হয়েছিল বিভ্রান্তি সৃষ্টির। এসব জামায়াত–শিবির করেছে, যা আমরা চিহ্নিত করেছি।
কিন্তু শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে সরকার কঠোর নয়। কোটা সংস্কারের মূল দাবি আদালতের রায়ের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারেও সরকার কাজ করছে।
বিএনপি ও জামায়াত যেহেতু আন্দোলন তাদের হাতে নিয়ে এটিকে সহিংস রূপ দিয়েছে, সে কারণে প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে কোথাও কোথাও পুলিশকে গুলি চালাতে হয়েছে। আর আক্রমণ যেখানে হয়েছে, সেখানে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষের এলাকাগুলোতেই প্রাণহানি হয়েছে।
সংঘর্ষ ও প্রাণহানি যাতে না হয়, সে লক্ষ্যে সরকারকে কঠোর হতে হয়েছে। সংঘাত বন্ধ করতেই সরকার কারফিউ দিয়েছে। এখন সার্বিক পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যারা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানেই থাকবে। তবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর ব্যাপারে পদক্ষেপ নিয়ে তাঁদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
মোহাম্মদ আলী আরাফাত, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী