রেল চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার পর থেকে আজ শুক্রবার বেলা দুইটা পর্যন্ত কোথাও কোনো ট্রেন চলাচল করেনি। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কবে নাগাদ ট্রেন চলাচল শুরু হবে এই বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
রেলওয়ে সূত্র বলছে, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত হচ্ছে ঢাকার ভেতরে কোনো ট্রেন প্রবেশ করবে না এবং ঢাকা থেকে কোনো ট্রেন যাবেও না। কিন্তু বেশির ভাগ ট্রেনই ঢাকায় আসে। ফলে সারা দেশেই রেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
রেলের কর্মকর্তারা এই বিষয়ে প্রকাশ্যে বক্তব্য দিতে চান না। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ট্রেন চলাচল করলে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলাচল করতে পারে। এতে আন্দোলনকারীরা ইচ্ছামতো স্থানে ছোট-বড় জমায়েত করতে পারবে। রেল ব্যবহার করে যাতে আন্দোলনকারীরা সুবিধা নিতে না পারে, সে জন্যেই এমনটা করা হয়েছে।
রেলওয়ে সূত্র বলছে, এখন রেলে যারা কর্মরত আছেন, তাঁদের কেউ এ রকমভাবে রেল চলাচল বন্ধ রাখার নজির বলতে পারছেন না। সাম্প্রতিক সময়ে ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে সারা দেশে রেলে নাশকতা করা হয়েছে। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেও রেলে আগুন, রেল লাইন উপড়ে ফেলাসহ নানা নাশকতার ঘটনা ঘটানো হয়। এর ফলে সাময়িকভাবে নির্দিষ্ট একটা রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। সারা দেশে একযোগে ট্রেন বন্ধ রাখার নজির নেই।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, আন্তনগর, মেইল, লোকাল ও কমিউটার মিলে সারা দেশে ৩০০ এর বেশি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে। মালবাহী ট্রেন মিলে সারা দেশে সাড়ে ৩০০ এর বেশি ট্রেন চলাচল করে। গত ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে এসব ট্রেনের চলাচল বন্ধ রয়েছে। শুরুতে ছয়-সাত ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয় বিভিন্ন স্থানে রেলপথ অবরোধের কারণে। এখন উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তে ট্রেন বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ।