সকালে ঘুম থেকে উঠে বাড়ির সামনের বাগানে হাঁটাহাটি করতে মন্দ লাগে না। আবার মনের মানুষের হাত ধরে গড়ের মাঠে হাঁটার অভিজ্ঞতাও বেশ আকর্ষণীয়।মনমেজাজ বেশ ফুরফুরেই থাকে এমন হাঁটাহাঁটিতে। তবে শখ করে এক-আ ধদিন খালি পায়ে হাঁটাহাটি করলেও নিয়মিত খালি পায়ে ঘাসের ওপর হাঁটার সময় বা সুযোগ হয় না। অনেকেই আবার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে গিয়ে খালি পায়ে হাঁটা থেকে বিরত থাকেন। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, খালি পায়ে নিয়মিত হাঁটা অভ্যাস করলে জীবনযাপনের সঙ্গে যুক্ত বহু সমস্যাকেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
* মানসিক চাপমুক্ত রাখে
সকালে শিশিরভেজা ঘাসের উপর খালি পায়ে হাঁটলে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। অবসাদগ্রস্ত মন নিমেষেই ভাল করে দিতে পারে এই অভ্যাস।
* মনমেজাজ ফুরফুরে রাখে
খালি পায়ে ঘাসের উপর হাঁটলে এনডরফিন হরমোন ক্ষরণের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। এই হরমোনটি ‘হ্যাপি’ হরমোন নামে পরিচিত। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে এই হরমোন থাকলে মনমেজাজ ফুরফুরে থাকে।
* প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখে
প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক নিবিড়। তবে এই প্রজন্মের কর্মসংস্কৃতি প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ খানিকটা কমিয়েই দিয়েছে, যা মনের জন্যে খুব একটা ভাল নয়। খালি পায়ে ঘাসের উপর হাঁটাহাঁটি সেই সংযোগকে আবার তৈরি করে দিতে পারে।
* শারীরবৃত্তীয় কাজ সচল রাখতে সাহায্য করে
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ঘাস কিংবা মাটির সঙ্গে শরীরের যোগাযোগ গোটা স্নায়ুতন্ত্রকে দেহের ঘড়ি অনুযায়ী নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। রক্তচাপ থেকে শুরু করে হরমোনের ক্ষরণ— সবটাই নিয়ন্ত্রণে রাখে।
* অনিদ্রাজনিত সমস্যা দূর করে
রাতে ঠিক মতো ঘুম হয় না বলে মুঠো মুঠো ওষুধ খাচ্ছেন? কিন্তু তাতে ওষুধের প্রতি কেবল নির্ভরতাই তৈরি হচ্ছে, অনিদ্রাজনিত সমস্যা দূর হচ্ছে না। ঘাসের ওপর খালি পায়ে প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটলে দূর হবে ঘুমের সমস্যাও।