জেলায় ক্লুলেস জিয়ারুল হত্যামামলার পলাতক আসামি মুরাদ হোসেন ফেলুকে (৩২) গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে র্যাব-৫।
শুক্রবার (১২ জুলাই) দুপুরে র্যাব-৫ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাতে জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার অভয়বাজার কামারপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মুরাদ রাজশাহীর তানোর উপজেলার লালপুর গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে।
র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে মুরাদ ও তার সহযোগীরা তানোর উপজেলা অডিটোরিয়াম শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার জন্য জড়ো হন। সেখানেই ভিকটিম জিয়ারুল ইসলামকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করা হয়। পরে জিয়ারুল মোটরসাইকেলে নারায়ণপুর থেকে বাড়ি ফেরার পথে চলন্ত অবস্থায় মাথায় কোপ দিলে জিয়ারুল মাটিতে পড়ে যান। এ সময় অন্যান্য আসামিরা তাকে লোহার রড দিয়ে আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নিহত জিয়ারুল ইসলাম তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও মুণ্ডুমালা পৌরসভার সাবেক মেয়র গোলাম রাব্বানীর চাচাতো ভাই। গোলাম রাব্বানী গেল সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে দলীয় প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরীর কাছে পরাজিত হন। জিয়ারুল খুনের পর গোলাম রাব্বানী দাবি করেন, নির্বাচনে জিয়ারুল তার পক্ষে ছিলেন বলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সমর্থকরা তাকে হত্যা করেছেন।
ওই ঘটনায় নিহত জিয়ারুলের বাবা বাদী হয়ে তানোর থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ সেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপর আসামি ফরহাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিলে মুরাদ হোসেন ফেলুসহ আরও কয়েকজন আসামির নাম বেরিয়ে আসে। তখন থেকেই মুরাদ পলাতক ছিলেন। পরে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং মুরাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।
এ ঘটনায় অন্য পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেপ্তার আসামিকে তানোর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।