শাহজাদপুরে বন্যায় ভেঙে গেছে সড়ক, ৯ গ্রামের মানুষ দুর্ভোগে

শাহজাদপুরে বন্যায় ভেঙে গেছে সড়ক, ৯ গ্রামের মানুষ দুর্ভোগে

বন্যার পানির তোড়ে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার একটি আঞ্চলিক সড়ক ভেঙে গেছে। এতে আশপাশের নয় গ্রামের মানুষকে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।

গুরুত্বপূর্ণ এ পাকা সড়কটি দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে না পারায় গরুর দুধ, ধানসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনা নেওয়া করতে পারছেন না এলাকাবাসী।  

স্থানীয়রা জানান, যমুনাসহ অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি বাড়ায় রাউতারা স্লুইচ গেট দিয়ে কায়েমপুর ইউনিয়নের চিথুলিয়া এলাকা প্লাবিত হয়। ধীরে ধীরে পানির চাপ বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে গত ৩ জুলাই গভীররাতে কাশিনাথপুর-শক্তিপুর পাকা সড়কটির চিথুলিয়া অংশের অন্তত ২৫ থেকে ৩০ মিটার অংশ সম্পূর্ণ ভেঙে যায়। ভেঙে যাওয়ার ফলে সড়কটি দিয়ে যাতায়াত সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে কায়েমকোলা, বাঙ্গালপাড়া, সায়েস্তাবাদ, সরাতৈল, বৃ-আঙ্গারু, চর আঙ্গারু, বনগ্রাম, কাশিনাথপুর, চিথুলিয়া গ্রামের অন্তত ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।  

এ অঞ্চলে উৎপাদিত গরুর দুধ, ধানসহ বিভিন্ন ফসল বাজারে নিতে পারছেন না কৃষকেরা।  

চিথুলিয়া গ্রামের হাবিব মোল্লা, দিদার বক্স, দুলাল হোসেন ও শাহজাহান আলীসহ অনেকেই বলেন, ২ জুলাই সকাল থেকে সড়কটির ওই অংশের নিচের ছিদ্র দিয়ে পানি গড়াতে থাকে। তখনই এলাকার লোকজন উপজেলা এলজিইডি অফিসকে বিষয়টি জানান। কিন্তু তারপরও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। পরদিন রাতে সড়কটি ভেঙে যাওয়ার পর খবর দিলেও তারা গুরুত্ব দেননি। পরে গত তিনদিন ধরে কিছু কাঁচা বাঁশ ও এ সড়কের পাশের ইউক্যালিপটাস গাছ দিয়ে খুবই ধীরগতিতে পাইলিংয়ের কাজ করা হচ্ছে।  

কায়েমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাসিবুল হাসান বলেন, সড়কটির চিথুলিয়া অংশ ভেঙে যাওয়ার সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও সড়কটি মেরামত করা হয়নি। এ সড়ক দিয়ে এলাকার মানুষের চাল, ডাল, ধানসহ প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য পরিবহন করতে হয়। বিশেষ করে এ সব গ্রাম থেকে প্রতিদিন উৎপাদিত প্রায় ৭০০ মণ দুধ বিভিন্ন দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানায় সরবরাহ করতে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে খামারিদের।  
শাহজাদপুর উপজেলা প্রকৌশলী এ এইচ এম কামরুল হাসান রনি বলেন, সড়কটির প্রায় ২০ মিটার এলাকা ভেঙে গেছে। এটি মেরামতে এলজিইডির বরাদ্দ নেই। স্থানীয় সংসদ সদস্যের নির্দেশে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সেখানে পাইলিংয়ের কাজ শুরু করেছে। ভাঙার পরিমাণ ও পানির গভীরতা বেশি হওয়ায় কাজ শেষ করতে একটু বেশি সময় লাগছে। তবে আশা করছি, এক সপ্তাহের মধ্যে এখানকার মেরামত কাজ শেষ হবে। তখন আর এ সমস্যা থাকবে না। 

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023 EU BANGLA NEWS