জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক তথ্য পাওয়ায় সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন।
তিনি বলেন, বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জীশান মীর্জা, বড় মেয়ে ফারহীন রিশতা বিনতে বেনজীর এবং মেজ মে তাহসীন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করার প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে।
এ সব সম্পদ ছাড়াও তাদের নামে-বেনামে, দেশে-বিদেশে আরও স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রয়েছে মর্মে তথ্য পাওয়া যায়। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(১) ধারা অনুযায়ী, তাদের পৃথক পৃথক সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারির বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত দেয়। সে অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের নামে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারি করা হয়েছে।
এদিকে ছাগল-কাণ্ডে আলোচিত অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সংযুক্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান, তার প্রথম স্ত্রী নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ, প্রথম পক্ষের সন্তান আহমেদ তৌফিকুর রহমান (অর্ণব) ও ফারজানা রহমান (ঈপ্সিতা) এবং দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতারের (শিবলী) সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারির কথাও জানান দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন।
সচিব জানান, বিআইডব্লিউটিএর সাবেক চেয়ারম্যান মো. শামছুদ্দোহা খন্দকার ও তার স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানা খন্দকারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত হয়েছে। শামছুদ্দোহা খন্দকারের বিরুদ্ধে আট কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ২২১ টাকার সম্পদ গোপনসহ ২ কোটি ৮৭ লাখ ৩ হাজার ৩৭৮ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং বিভিন্ন ব্যাংকে সন্দেহজনক তথা অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে কমিশন চার্জশিট দাখিলে অনুমোদন দিয়েছে।
ফেরদৌসী সুলতানা খন্দকার এবং তদন্তে আসা আসামি মো. শামছুদ্দোহা খন্দকারের বিরুদ্ধে ২৮ কোটি ৪৭ লাখ ০৩ হাজার ৮৯১ টাকার সম্পদ গোপনসহ ২৭ কোটি লাখ ৮২ হাজার ৪৯১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে।
শামছুদ্দোহা খন্দকারের স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানা খন্দকার পেশায় একজন গৃহিণী। বিভিন্ন ব্যাংকে সন্দেহজনক তথা অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়ায় তাকেও সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে বলা হয়েছে।