রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর প্রায় ছয় বছর কেটে গেছে। এই সংকট নিরসনে নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বরং এটি ক্রমাগত নীরব ভূমিকা পালন করেছে বলে জানিয়েছেন, জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে অনুষ্ঠিত ‘ফিউচারপ্রুফিং ট্রাস্ট ফর সাস্টেইনিং পিস’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন এ তথ্য জানায়।
জনগণ এবং বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অবিশ্বাসের প্রসঙ্গ টেনে রাষ্ট্রদূত মুহিত বিশ্বশান্তির জন্য দৃশ্যমান হুমকিসমূহ মোকাবিলা এবং রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের মতো সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণদের সুরক্ষায় সংহতি ও ঐক্য প্রদর্শনের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মাঝে বিশ্বাস অর্জনের নিমিত্ত্ব পরিষদকে আরও বেশি সক্রিয় হওয়া আবশ্যক।
স্থায়ী প্রতিনিধি মুহিত তার বক্তব্যে বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার্থে শান্তিরক্ষীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন এবং এ প্রসঙ্গে তিনি জাতিসংঘ শান্তি বিনির্মাণ কমিশনের (পিবিসি) এতদ্সংক্রান্ত ম্যান্ডেট আরও জোরদার করার আহ্বান জানান।
তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের মতো নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলায় পিবিসির পরিপূরক ভূমিকা নেওয়ার জন্য পরিষদের প্রতি আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, দুই মেয়াদের জন্য পিবিসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ কমিশনের সম্ভাবনাকে অধিকতর প্রসারিত করার জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়েছে।
তিনি টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তি বিনির্মাণে নারীর পূর্ণ, সমান ও অর্থপূর্ণ অংশ নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস এবং মানবাধিকার রক্ষাসহ বৃহত্তর শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে জাতিসংঘের নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা কর্মসূচির পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন।
মে মাসে সুইজারল্যান্ড নিরাপত্তা পরিষদে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে। দেশটি পরিষদে তার প্রথম সভাপতিত্বের একটি স্বাক্ষর ইভেন্ট হিসেবে এই উচ্চপর্যায়ের উন্মুক্ত বিতর্কের আয়োজন করেছিল।
এতে সভাপতিত্ব করেন সুইজারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইগনাজিও ক্যাসিস।