ঈদে নিজের খাবারের বেলায় যেমন, তেমনি অতিথি আপ্যায়নের বেলায়ও ভাবতে হবে তাদের স্বাস্থ্যের কথা। ঈদের দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে রান্না হয় নানান স্বাদের মুখরোচক খাবার।এ কারণেই কমবেশি সবাইকেই বেশি আহার গ্রহণ করতে দেখা যায়। বিশেষ করে রাতে মিষ্টি ও চর্বিজাতীয় খাবারের বাহুল্য দেখা যায়।
আর এতেই বিধিনিষেধ চিকিৎসকদের। কারণ ওইসব খাবার শরীরের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। যাদের ডায়াবেটিক, হৃদরোগ ও কিডনিজনিত রোগ আছে তাদের বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ না করে পরিমাণমতো খাবার গ্রহণ করা উচিত। এতে শরীর-স্বাস্থ্য দুটোই ভালো থাকবে, ঈদও উপভোগ করা যাবে আনন্দের সাথে।
শারীরিক সুস্থতার জন্য এ সময়ে বেশি বেশি খাওয়া থেকেও বিরত থাকতে হবে। কোরবানির ঈদে খাবার খাওয়ার সময় কিছু বিষয় খেয়াল রেখে খেলেই শরীরের জন্য ভালো হয়।
ঈদে গরু, খাসি থেকে ফ্রি হিসেবে আমরা পাচ্ছি তেল-চর্বি। রান্নায় তেল-চর্বি না থাকলে স্বাদ যেমন আসে না তেমনি তেল-চর্বির কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকিও বেড়ে যায় বহুগুণে। উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগে যারা আক্রান্ত তাদের জন্য গরু-খাসির ফ্যাট এককথায় হারাম। রান্নার পরে ওপরে যে তেলটা ভাসতে থাকে সেটা ফেলে দিয়ে শুধু মাংসটুকু খেতে হবে। দৃশ্যমান সাদা বা হলদে চর্বি ফেলে দিন। রান্না করা মাংস রেখে দিলে জমাট বেঁধে যে অংশটুকু ওপরের দিকে থাকে সেটা পুরোটাই ফ্যাট। এই অংশটুকু ফেলে দিন।
মগজ, কলিজা এগুলো যেমন সুস্বাদু তেমনি কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ। তরুণদের জন্য সমস্যা না হলেও বয়স্করা কলিজা, মগজ, হাড়ের মজ্জা এসব পরিহার করুন।
ঈদে অনেক বাসাতেই বিভিন্ন রকম কাবাব তৈরি করা হবে, কাবাবের একটা সুবিধা হচ্ছে ঝলসানোর কারণে রান্না মাংসের থেকে কাবাবে চর্বির পরিমাণ কমে যায়। তাই একআধটু কাবাব খেতে পারেন।
ঈদের রান্নায় ঘি অপরিহার্য কিন্তু এই ঘি ব্যবহারেও শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়বে। কোরমা, পোলাওয়ে ঘি না দিলেই নয়। যারা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছেন তারা ঈদের পরের দিন থেকেই স্বাভাবিক খাবারে ফিরে আসুন।
যেহেতু ঈদের সময় খাবারে সবজির কোনো স্থান থাকবে না তাই সালাদের সাথে যোগ করতে পারেন অতিরিক্ত সবজি। ফ্রুটস অ্যান্ড ভেজিটেবল সালাদ রাখুন প্রতিবেলায়।
খাবার পরে কোল্ড ড্রিঙ্কসের বদলে দই নিয়ে আসুন। সাথে রাখুন বোরহানি, লাবাং, মাঠা ইত্যাদি পানীয়।