দুই যুগ পর (২৪ বছর) সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আ. মমিনকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১০।
২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার জেরে ওই বছরের ৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার মা-বাবা ভাইকে বেধড়ক মারপিট করে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।একই সঙ্গে ওই ছাত্রীকে ধরে নিয়ে পাশের একটি কচুক্ষেতে ফেলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুর ১২টার দিকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকা জেলার ধামরাই থানাধীন কালামপুর বাজার এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে মামলার পলাতক আসামি আ. মমিনকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার (১৪ জুন) বিকেলে র্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার এম. জে. সোহেল বাংলানিউজকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, চাঞ্চল্যকর ওই ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আ. মমিন দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে পলাতক থেকে জীবনযাপন করে আসছিলেন। গ্রেপ্তার আসামি সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার পূর্ব দেলুয়া গ্রামের শেতলের ছেলে।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, গ্রেপ্তার আসামি ওই মামলার পলাতক আসামি বলে স্বীকার করেছেন। গ্রেপ্তার আসামি মামলার পর থেকে ঢাকার ধামরাইসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে আত্মগোপনে ছিলেন। তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঘটনার প্রসঙ্গে র্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, ২০২১ সালের ৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার জেরে ওই ছাত্রীর বাড়িতে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। ওই সময় আসামিরা তাকে ও তার মা-বাবা ভাইকে বেধড়ক মারপিট করে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। পরে তাকে জোর করে ধরে নিয়ে একটি কচুক্ষেতে ফেলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে ১৬ জনের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি ধর্ষণ মামলা করেন।
এ মামলায় আদালত ১১ জন আসামিকে যাবজ্জীবন সাজা এবং প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন। মামলা দায়ের বিষয়টি জানতে পেরে আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়।