পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানদের জব্দ করা সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রিসিভার নিয়োগের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আসসামস জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
দুদকের অনুসন্ধানকারী টিমের প্রধান উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম তার জব্দ করা স্থাবর সম্পত্তি দেখভালের জন্য রিসিভার নিয়োগের জন্য আবেদন করেন। আদালত তার গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট ছাড়া ক্রোককৃত সব স্থাবর সম্পত্তির জন্য রিসিভার নিয়োগের আদেশ দেন।
দুদকের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, গত ২৩ ও ২৬ মে দুই দফায় বেনজীরের প্রায় ৬১২ বিঘা সম্পত্তি ক্রোক করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেসব সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আমরা রিসিভার নিয়োগের আবেদন করি। এসব সম্পত্তির আয়-ব্যয়ের রিপোর্ট দুই মাস অন্তর অন্তর আদালতে দাখিলের আবেদন করি। শুনানি শেষে গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট বাদে বাকি সম্পত্তিগুলোর জন্য রিসিভার নিয়োগের আদেশ দেন আদালত। তবে কারা কোন সম্পত্তির দায়িত্ব পাবে তা পূর্ণাঙ্গ আদেশে থাকবে।
এর আগে গত ২৩ মে বেনজীরের নামে গোপালগঞ্জ সদর, কোটালিপাড়া ও কক্সবাজারের ৮৩টি দলিলে বিভিন্ন স্থাবর সম্পদ ক্রোক ও ৩৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দেন একই আদালত। এরপর গত ২৬ মে বেনজীর, তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে থাকা ফ্ল্যাট-কোম্পানিসহ ১১৯টি স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন একই আদালত।
আদালত আদেশে বলেন, মানি লন্ডারিং আইন ২০১২ এর ১৪ ধারা এবং দুদক বিধিমালা ২০০৭ এর বিধি ১৮ অনুযায়ী সব স্থাবর সম্পদ ক্রোক এবং অস্থাবর সম্পদ ফ্রিজের আদেশ দেওয়া হলো। ক্রোক হওয়া সম্পত্তি হস্তান্তর করা যাবে না এবং জব্দকৃত ব্যাংক হিসাবে টাকা জমা দেওয়া গেলেও উত্তোলন করা যাবে না। সেই মর্মে সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রার, এসি ল্যান্ড বিএসইসি ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংক সমূহের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর আগে গত ৩১ মার্চ দৈনিক কালের কণ্ঠে ‘ঢাকায় বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হলে নতুন করে আলোচনায় উঠে আসেন পুলিশের সাবেক আইজিপি ও র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।