চলচ্চিত্রের চলমান সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৯টি সংগঠন। বুধবার (২২ মে) বিকেলে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির কার্যালয়ে পরিচালক, প্রযোজক, শিল্পী সমিতিসহ ১৯ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ১৯ সংগঠনের মুখপাত্র মোহাম্মাদ ইকবাল ও শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটির মুখপাত্র ডিএ তায়েব।
এসময় তারা জানায়, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা, বিশৃঙ্খল কথাবার্তা ও এফডিসির ভাবমূর্তি নষ্ট করায় অভিনেত্রী নিপুণ আক্তার ও শিল্পী সমিতিকে সাবধান করে চিঠি দিতে যাচ্ছে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৯ সংগঠন।
বৈঠক শেষে মোহাম্মদ ইকবাল বলেন, নিপুণ আক্তারকে নিয়ে বৈঠকে আমাদের কাছে অভিযোগ আসে, তারা (শিল্পী সমিতি) নিপুণের বিষয়টি নিয়ে সমাধান চায়। সেই প্রেক্ষিতে আমরা দুই পক্ষকেই একটি চিঠি দেব। বিশৃঙ্খল কথাবার্তা, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এসব নিয়ে সতর্ক করা হবে। যেন ভবিষ্যতে কথা বলার ক্ষেত্রে তারা যেন সতর্ক থাকে। আমার এফডিসিতে কোনোরকম ঝামেলা চাই না আমরা সবাই একসঙ্গে থাকতে চাই।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে রিট করেছেন সম্পাদক পদে ভোট করে হেরে যাওয়া অভিনেত্রী নাসরিন আক্তার নিপুণ। নিপুণের এই রিটের বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না শিল্পীরা।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার দুপুরে নিপুণের বিপক্ষে মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শিল্পীরা। বিক্ষোভে ব্যানার হাতে শিল্পীরা নিপুণের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে ফলাফল বাতিল চেয়ে গত ১৫ মে রিট আবেদন করেন নিপুণ। রিটে মিশা-ডিপজলের নেতৃত্বাধীন কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়।
আবেদনে রিটের শুনানিতে সম্পাদক পদে জয়ী মনোয়ার হোসেন ডিপজলের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গেল ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ২৬৫ ভোট পেয়ে সভাপতি পদে জয়ী হন মিশা সওদাগর। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মাহমুদ কলি পেয়েছেন ১৭০ ভোট।
২২৫ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নাসরিন আক্তার নিপুণ অল্প ভোটে হেরেছেন; তিনি পেয়েছেন ২০৯ ভোট।