এ যেন মহা আয়োজন! বিকেল থেকেই বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব অংশে বিপুল সংখ্যক মানুষ। আশপাশ থেকে নানা শ্রেণির মানুষ এসে জড়ো হয়েছেন।এসেছেন ঢাকার বাইরে থেকেও। রাস্তার মুসাফির থেকে শুরু করে সমাজের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরাও শামিল এখানে। সবার এ উপস্থিতি ইফতারকে ঘিরে।
সময় যত এগিয়ে আসে, রোজাদারের সংখ্যাও তত বাড়তে থাকে, সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে স্বেচ্ছাসেবকদের তৎপরতা। দোয়া-দরুদ পড়তে থাকেন সবাই। অপেক্ষার প্রহর গোনেন ইফতারের। সময় হতেই সবাই মিলে একসঙ্গে ভাঙেন রোজা, করেন ইফতার।
প্রতি রোজার মতো বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ১৭তম রোজায়ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে দেখা গেল এমন চিত্র। হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন এখানে ইফতার করছেন। সন্ধ্যায় ধনী-গরিবের ব্যবধান ঘুচে যায় এখানে। সমাজের বিভিন্ন স্তরের, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এখানে পাশাপাশি বসে ইফতার করেন।
পবিত্র রমজান উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে রোজাদারদের জন্য ইফতারের ব্যবস্থা করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। প্রথম রোজা থেকে প্রতিদিন তিন হাজার রোজাদারের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) প্রেসিডেন্ট ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা সায়েম সোবহান আনভীরের পক্ষ থেকে এই ইফতার বিতরণ করা হচ্ছে।
সারা দিন রোজা রাখার পর মাগরিবের আজানের মুহূর্তে এই ইফতার আয়োজনে ধনী-গরিবের ভেদাভেদের দেয়ালটি ভেঙে যায়।
শাহরিয়ার রহমান নামে একজন বললেন, মসজিদে ইফতারের জন্য পূর্ব অংশে হাজারো মুসল্লি সারি বেঁধে ইফতারের জন্য বসেছেন। চলছে ইফতার-পূর্ব কোরআন তিলাওয়াত, হামদ-নাত পাঠ। মাসআলা-মাসায়েল সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। এমন আয়োজন শহরে খুব কমই। তাই এখানে আসা।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির সভাপতি হাজী মো. ইয়াকুব আলী এবং সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মানিক উপস্থিত থেকে রোজাদারদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন।
এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মানিক বলেন, এ বছর তৃতীয়বারের মতো রমজানে বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ইফতার বিতরণ করা হচ্ছে। প্রতিদিন তিন হাজার রোজাদারকে ইফতার করানো হচ্ছে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে। এখানে সবাই মিলে একসঙ্গে পরিবারের মতো ইফতার করতে পারে, এটা আমাদেরও ভালো লাগে। বিশেষ করে এই ইফতারে ধনী-গরিব এক কাতারে শামিল হয়ে যান।