অগ্নিকাণ্ড সারা বছরই ঘটতে পারে, এজন্য সাবধানতাও প্রতিদিনের। আমরা দেখেছি সম্প্রতি বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে।
অগ্নিকাণ্ডে জান-মালের ব্যাপক ক্ষতি হয়, দুঃখজনক এই অবস্থা থেকে নিরাপদে থাকতে প্রয়োজন সচেতনতা। রান্নাঘরের চুলা, শোবার ঘরের কয়েল বা বড় ফ্যাক্টরির গ্যাসের লিকেজ অথবা বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
দুর্ঘটনা এড়াতে আমাদের যেসব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে
• লক্ষ্য করুন, রান্না ঘরে গ্যাসেরও চুলা অপ্রয়োজনে কখনোই জ্বালিয়ে রাখবেন না।
• চুলার ওপরে কাপড় শুকাতে দেবেন না
• বাসা থেকে বের হওয়ার সময় একবার রান্নাঘরে ঘুরে আসুন, চুলাটা চেক করুন
• রান্নাঘরে একটি জানালা সব সময় খোলা রাখুন
• মশার হাত থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই কয়েল ব্যবহার করেন, এটি আমাদের শরীরের জন্য যেমন খারাপ, তেমনি ঘটতে পারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডও।
• কয়েলের পরিবর্তে মশারি ব্যবহার করুন
• গ্যাসের লাইনে লিকেজ থাকলে অবহেলা করবেন না, আগে মেকানিক ডেকে সারিয়ে তারপর কাজ করুন
• নিয়মিত বিদ্যুৎ ও গ্যাসের লাইন ঠিক আছে কিনা চেক করিয়ে নিন
• শিশুদের চুলার কাছে যেতে দেবেন না।
• কোনো ধরনের অগ্নিকাণ্ড হলে প্রথমে সব বিদ্যুতের মেইন সুইচ বন্ধ করে দিন
• দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরে যান।
ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার মাহফুজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, যেকোনো ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে আতঙ্কিত না হয়ে ফায়ার সার্ভিসে যোগাযোগ করুন
প্রতিটি জেলায় ফায়ার সার্ভিসের অফিস রয়েছে, ২৪ঘণ্টাই এখান থেকে সেবা দেয়া হয়।
আগের চেয়ে ফায়ার সার্ভিসের যন্ত্রপাতি ও প্রশিক্ষিত জনবল বেড়েছে বলেনও উল্লেখ করেন মাহফুজুর রহমান।
যেকোনো এলাকা থেকেই কন্ট্রোল রুমে অগ্নিকাণ্ডের তথ্য জানালে সংশ্লিষ্ট এলাকার ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেওয়া হয়।
উৎসুক জনতার চাপে অনেক সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অনেক বেগ পেতে হয়, এ ধরনের ঘটনায় জনগণকেও সচেতন থেকে ফায়ার সার্ভিসের লোকদের কাজ করার সুযোগ দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
ফায়ার ব্রিগেড জরুরি নাম্বার ১৯৯, হেড অফিস কন্ট্রোল রুম-৯৫৫৫৫৫৫-৯৫৫৬৬৬৬