দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল বলেছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তৈরি করা ভুয়া খবর ও অপতথ্য গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের প্রসারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও প্রযুক্তিকে যাতে কাজে লাগানো যায় সে জন্য দেশগুলোর দায়িত্ব হলো সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অর্জিত অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান বিনিময় করা।
সোমবার(১৮ মার্চ) দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল এ হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।
সম্মেলনে কোস্টারিকা থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও ঘানাসহ ৩০টি দেশ অংশ নিচ্ছে। তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলনে গণতন্ত্রের প্রতি প্রযুক্তিগত হুমকি ও প্রযুক্তিকে কীভাবে গণতন্ত্র ও সর্বজনীন মানবাধিকারের প্রসার ব্যবহার করা যায় তা মূল আলোচনার বিষয় হয়ে উঠতে পারে।
সম্মেলনে অংশ নেওয়া পশ্চিমা বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিরা রাশিয়া ও চীনের বিরুদ্ধে ‘ক্ষতিকর প্রচারণা’ চালানোর অভিযোগ করেছেন।
সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, স্বৈরাচারী ও নিপীড়নমূলক শাসনব্যবস্থা গণতন্ত্র ও মানবাধিকার ক্ষুণ্ন করার জন্য প্রযুক্তিকে ব্যবহার করছে। বিশ্বজুড়ে তথ্য প্রভাবিত করার নেপথ্যে রাশিয়া ও চীনের ভূমিকার বিষয়ে ওয়াশিংটনের অভিযোগ পুনর্ব্যক্ত করেন ব্লিঙ্কেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে রাশিয়া অপতথ্য ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ইউরোপীয় কর্মকর্তারাও।
এটি তৃতীয় গণতন্ত্র সম্মেলনের যা আয়োজন করছে দক্ষিণ কোরিয়া। এর আগের দুটি গণতন্ত্র সম্মেলন আয়োজন করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।