বরিশালে পুলিশের করা মামলার আসামি হিসেবে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১৪ নেতাকর্মীকে।
উচ্চাদালতের দেওয়া জামিন শেষে সোমবার (১৮ মার্চ) আদালতে হাজির হলে তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবুল কালাম শাহীন।
কারাগারে যাওয়া নেতারা হলেন- বরিশাল মহানগর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন রেজা, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব গোলাম মোর্শেদ মাসুদ, সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জিয়াউল ইসলাম সাবু, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম সেলিম, বানারীপাড়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. শাহআলম মিয়া, রিয়াজ মৃধা, বাকেরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব নাসিরউদ্দিন হাওলাদার, দক্ষিণ জেলা কৃষক দলের আহবায়ক মহসিন আলম, সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম, সদস্য সচিব হায়দার আলী, মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুশফিকুর রহমান অভি, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, বিএনপি নেতা হারুন অর রশিদ ও জেলা স্বেচ্ছসেবক দলের সদস্য মিজানুর রহমান।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবুল কালাম শাহীন জানান, গত ৩ মার্চ কোতোয়ালি মডেল থানায় এসআই আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নামধারী ৪৮ ও অজ্ঞাতনামা ২৪০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলার আসামি হিসেবে সবাই উচ্চাদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। উচ্চাদালতের নির্দেশে জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য বরিশাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়। চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফউদ্দিন সবার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) এসআই এনামুল হক জানান, গত ৩ মার্চ সরকারি আদেশ অমান্য করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের লক্ষ্যে বেআইনি জনতায় নৈরাজ্যে সৃষ্টির জন্য দাঙ্গা করে রাস্তায় অবরোধ করে রাষ্ট্র বিরোধী স্লোগান দেয়। পুলিশ প্রতিরোধ করতে গেলে তাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও ধাক্কা দিয়ে আহত করে। এ অভিযোগে কোতোয়ালি মডেল থানায় ওই দিন মামলা করা হয়।
মামলার বাদী ছিলেন থানার এসআই আব্দুল মান্নান। ওই মামলার আসামি হিসেবে উচ্চাদালত থেকে জামিনে ছিলেন আসামিরা। জামিনের মেয়াদ শেষে আদালতে হাজির হয় আসামিরা। আদালত জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।