মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় গণধর্ষণ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি ২১ বছর বিভিন্ন ছদ্মবেশে থেকেও শেষরক্ষা হলো না আবুল মিয়ার।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিপিসি-৩ র্যাব-৪ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন।গ্রেপ্তার আবুল মিয়া ওরফে রাজিব (৪৫) মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলার ধল্লা উত্তর পাড়া এলাকার গেদা ফকিরের ছেলে।
জানা যায়, ধর্ষণের শিকার পোশাক শ্রমিক জেলার সিংগাইর উপজেলার ধল্লা চর উলাইলে বসবাস করতেন। ওই পোশাক শ্রমিক নিজ বাড়ি থেকেই প্রতিদিন জীবিকা নির্বাহের জন্য যাতায়াত করতেন। মাঝে মাঝেই আবুল হোসেন ওই নারী পোশাক শ্রমিককে যাতায়াতের পথে কুপ্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করতেন। আবুলের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ২০০৩ সালের মে মাসের ২৭ তারিখে আবুল মিয়া (২৫), মানিক (২৮), খালেক (৫০), কালাম (৫০) মিলে ওই পোশাক শ্রমিককে অপহরণ করে জোর করে ধর্ষণ করে।
ওই পোশাক শ্রমিকের চিৎকারের আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ওই পোশাক শ্রমিকের বাবা বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ নারী ও শিশুর ট্রাইবুনাল আদালতে ধর্ষণ মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সব প্রকার তদন্ত শেষে আবুল মিয়া ও মানিকের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। আদালত সব প্রকার সাক্ষ্য প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে আবুল হোসেন ও মানিককে ১৪ বছর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে আসামি পলাতক থাকায় আদালত আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। গ্রেপ্তার এড়াতে আবুল মিয়া বিভিন্ন সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে ছদ্মনাম রাজীব ব্যবহার করে আত্নগোপনে থাকেন। কখনও দিনমজুর আবার সবজি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পলাতক আসামি আবুল হোসেনকে সিংগাইর উপজেলার ভূমি দক্ষিণ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে সিপিসি-৩ র্যাব-৪ এর একটি দল।
সিপিসি-৩ র্যাব-৪ এর মানিকগঞ্জ অঞ্চলের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন বলেন, গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে সিংগাইরের ঘুম দক্ষিণ এলাকা থেকে আবুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠানোর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।