অসময়ে শীত বিদায় নেওয়ায়, ব্যথায় কাতর রোগীরা ভাবছেন, ব্যথাও পালিয়ে যাবে। তা নিয়ে কিন্তু যথেষ্ট সন্দেহ আছে।একটা বিষয়ে সন্দেহ নেই, সয়াবিন খেলে হাড় মজবুত হয়। ফলে এই বাতের ব্যথা অনেকাংশে প্রতিরোধ করা যাবে বছরজুড়েই।
এক পরিসংখ্যান বলছে, সপ্তাহে তিন দিন ৩০ থেকে ৫০ গ্রাম সয়াবিন ও নিয়মিত সয়ামিল্ক খেলে হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করা যায়। মেনোপজের পর নারীদের হাড়ে ক্যালশিয়ামের পরিমাণ কমতে শুরু করে। হাড় ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। প্রতিদিনের ডায়েটে ফাইটোইস্ট্রোজেন সমৃদ্ধ সয়াপ্রোটিন থাকলে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি কমে যায়।
হার্ট ভালো রাখতে সয়াবিনের জুড়ি মেলা ভার। সয়াবিনের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হার্টের জন্য দারুণ কাজ করে। খারাপ কেলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। যে কারণে কমে হৃদরোগের আশঙ্কা। যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তারা প্রতিদিন ডিম, মাছ, মাংসের পরিবর্তে সয়াবিন খেলেই উপকার পাবেন। তবে এই সয়ামিল্ক পরিমাণে ৭- ৮ এর বেশি রাখবেন না।
সয়াবিনের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ক্যালশিয়াম। যা আমাদের হাড় আর দাঁতের গঠন মজবুত করে। আজকাল ক্যালশিয়ামের অভাবে প্রচুর মানুষ ভুগছেন।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সয়াবিন ভীষণ উপকারী। একই রকম উপকারী সয়াবিনের দুধও। সয়াবিনের মধ্যে থাকে এমন কিছু অ্যালকালয়েডস যা আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। প্রেশার বেশি থাকলে প্রোটিন মেপে খেতে বলা হয়। এক্ষেত্রে ভালো কাজ দেয় সয়াবিন। তবে সয়াবিনও মেপে খেতে হবে।
সয়াবিনের মধ্যে থাকে একাধিক উপকারী উপকরণ। যা আমাদের সহজেই ওজন কমাতে সাহায্য করে। ডায়েট করলে অনেকেই রেড মিট এড়িয়ে চলেন। মাংস এড়িয়ে চলেন। সেক্ষেত্রে এই সয়াবিন ব্যবহার করে বানাতে পারেন কাটলেট, কাবাব। ব্রাউন রাইস আর সয়াবিন দিয়ে পোলাও বানাতে পারেন। ব্যবহার করতে পারেন ওটসেও। একইসঙ্গে পেশি গঠনেও সাহায্য করে এই বড়ি।
অতিরিক্ত সয়াবিনের ক্ষতিকারক দিকও আছে। পুষ্টিবিদদের মতে, শিশুদের জন্যও সয়া মিল্ক অত্যন্ত পুষ্টিকর। টাটকা বিনস রাখুন ডায়েটে। সপ্তাহে অন্তত দিন তিনেক সয়াবিন খেলে অনেক অসুখ অনায়াসে প্রতিরোধ করা যায়।