সাব-রেজিস্ট্রার পদ ভূমি মন্ত্রণালয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা নেই: আইনমন্ত্রী

সাব-রেজিস্ট্রার পদ ভূমি মন্ত্রণালয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা নেই: আইনমন্ত্রী

সাব-রেজিস্ট্রার পদ আইন ও বিচার বিভাগ থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে স্বতন্ত্র সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তিনি এ কথা জানান।স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

আনিসুল হক বলেন, রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত বিষয়াদি আইন ও বিচার বিভাগের কর্মপরিধিভুক্ত। ফলে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস এবং সাব-রেজিস্ট্রার পদ আইন ও বিচার বিভাগের অধীন প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন অধিদপ্তরের আওতায় থাকাই যৌক্তিক।  

তিনি বলেন, সাব-রেজিস্ট্রার পদ আইন ও বিচার বিভাগ থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত বিষয় আইন ও বিচার বিভাগের আওতাধীন থাকার বিষয়টি নিষ্পত্তিকৃত।  

মন্ত্রী বলেন, ভূমি অফিস ও সাব-রেজিস্ট্রি অফিসকে স্ব স্ব প্রশাসনিক এখতিয়ারের মধ্যে রেখে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের সঙ্গে সাব-রেজিস্টার অফিসের একটি আন্তঃসংযোগ স্থাপন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসকে স্ব-স্ব প্রশাসনিক এখতিয়ারের মধ্যে রেখে ইতোমধ্যে আন্তঃসংযোগ স্থাপন করা হয়েছে।

আনিসুল হক জানান, ঢাকার উত্তরা, খিলগাঁও, গুলশান, সাভার, চট্টগ্রামের আনোয়ারা, পাহাড়তলী, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ, গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা, কুষ্টিয়ার কুমারখালী, টাঙ্গাইলের বাসাইল, নাগরপুর, রাজশাহীর চারঘাট, সিলেটের তাজপুর, দিনাজপুরের চিরিরবন্দর, ময়মনসিংহের নান্দাইল ও বরিশালের হিজলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ডিজিটাল পদ্ধতিতে দলিল রেজিস্ট্রি হচ্ছে এবং এসব অফিসের সাথে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের আন্তঃসংযোগ স্থাপিত হয়েছে।

তিনি জানান, ২০২১ সালের ১০ জুন থেকে ২০২৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ ১৭টি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে মোট এক লাখ চার হাজার ১১৬টি দলিল ই-রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে। আঁটে দলিল নিবন্ধনের পর সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে ল্যান্ড ট্রান্সফার (এলটি) নোটিশ পাঠাতে বিলম্ব হতো।  

তিনি আরও জানান, ই-রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে দলিল নিবন্ধনের সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এলটি নোটিশ সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে পাঠানো হয়। এর মাধ্যমে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস দ্রুততম সময়ে নামজারি কার্যক্রম নিতে পারে।  
মন্ত্রী বলেন, এ আন্তঃসংযোগের মাধ্যমে সাব-রেজিস্ট্রাররা কোনো দলিল নিবন্ধনের আগে নামজারির সর্বশেষ অবস্থান দেখতে পান। ফলে ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন ও জাল খতিয়ানের মাধ্যমে দলিল নিবন্ধন বন্ধ হয়েছে এবং রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা কমেছে। স্বল্প সময়ে ও কম খরচে মানসম্মত সেবা নিশ্চিত হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023 EU BANGLA NEWS