দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে শিগগিরই ৪ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসবেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে শিগগিরই ৪ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসবেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

রমজানের আগে শিগগিরই কৃষি, খাদ্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একসঙ্গে বসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কী করণীয় তা বের করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।  

তিনি বলেন, আসন্ন রমজানে চিনি, ভোজ্যতেল, খেজুর ও চাল—এসব পণ্যের দাম বা বাজারটাকে কেউ যাতে অস্থিতিশীল করতে না পারে।নিত্যপণ্যের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার জন্য একসঙ্গে বসা হবে।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

রমজানের আগে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কি করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, চিনি, ভোজ্যতেল, খেজুর ও চাল—এসব পণ্যের শুল্ক হ্রাসের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে গত ২২ জানুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। গত বৃহস্পতিবার তারা চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। এখন এনবিআর কেন দিচ্ছে না, সেটা গিয়ে তাদের বলতে হবে। এ সময়ে এনবিআর কেন পদক্ষেপ নিচ্ছে না, সেটা তাদেরকেই প্রশ্ন করার পরমার্শ দেন তিনি।

চারটি পণ্যের শুল্ক কমাতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেগুলো হলো, চিনি, ভোজ্যতেল, খেজুর ও চাল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চালটি হচ্ছে খাদ্য অধিদফতরের। চালের বাজার, মজুত ও বিপণনের দায়িত্ব খাদ্য অধিদফতরের। আর কৃষিপণ্যের বাজারের দায়িত্ব কৃষি বিপণন অধিদফতরের। প্রতিদিন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তারা কিছু কৃষিপণ্যের উৎপাদন খরচ, খুচরা পর্যায়ে যৌক্তিক মূল্য ও ঢাকা মহানগরীতে পাইকারি বাজার দর প্রকাশ করে।

রমজানের আগে এখন চারটি মন্ত্রণালয় একসঙ্গে বসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কী করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করে কাজ করা হবে জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন চার মন্ত্রণালয় একসঙ্গে বসে বাজারের কী বিষয়ে কীভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে বিষয়ে আমরা কাজ শুরু করবে। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে বসতে পারিনি। ওমরাহ পালন করার জন্য দেশের বাইরে আছেন কৃষিমন্ত্রী। তিনি দেশে আসলেই কৃষি, খাদ্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একসঙ্গে বসে বাজারটাকে কীভাবে যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা যায় এবং কার কী ভূমিকা, কে কী করবেন, তা নিয়ে কাজ শুরু করবো।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুটো পণ্যের মূল্য নির্ধারণের এখতিয়ার আমাদের আছে। একটি চিনি, অন্যটি ভোজ্যতেল। বাজারে যেসব পণ্য নিয়ে বেশি আলাপ হয়, তার মধ্যে এ দুটো। এ বিষয়ে বলছি যে, গত ২২ জানুয়ারি চিঠি দিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) বলা হয়েছে, যাতে শুল্ক কমিয়ে দেওয়া হয়। এটা আমি এরই মধ্যে বলেছি। গত সোমবারে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নিয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটা কার্যকর হলে ভোক্তা পর্যায়ে কিছুটা স্বস্তি আসবে।

এরআগেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু কাজ হয়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটার আমি কী করতে পারি? আপনি যে প্রশ্নটি করেছেন, সেটার জবাব কী হতে পারে? এবার যদি না হয়, তখন আপনি বলতে পারেন, আপনি করলেন, করার পরেও হলো না।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023 EU BANGLA NEWS