রাজধানীর উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরে কবরস্থানের পাশে বিএনপি ঘোষিত কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচিতে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঝুঁকি ছিল। তাই পুলিশি হেফাজতে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মঈন খানকে আটক করা হয়নি। তবে কালো পতাকা মিছিল থেকে ৮-১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে উত্তরা পশ্চিম থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে বিএনপির কালো পতাকা মিছিল পুলিশ ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার পর ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মির্জা সালাউদ্দিন সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
এর আগে ‘অবৈধ ডামি সংসদ বাতিল করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের দাবিতে’ ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আয়োজিত কালো পতাকা মিছিলের প্রারম্ভেই পুলিশ তা ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানকে পুলিশ ঘেরাও করে গাড়িতে তুলে নেয়। পরে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদসহ বেশ কয়েকজন নারী নেতাকর্মীকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়। এ ছাড়া আরও কয়েকজন নেতাকর্মীকে হেফাজতে নেওয়া হয়।
উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মির্জা সালাউদ্দিন বলেন, কর্মসূচি থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানকে আটক করা হয়নি। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঝুঁকি ছিল। তাই তাকে পুলিশি হেফাজতে গাড়িতে করে এগিয়ে দিয়েছি। পরে তার গাড়ি এসে তাকে নিয়ে গেছে।
মঈন খানের নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা বলছেন, কিন্তু পুলিশ তাকে যেভাবে গাড়িতে তুলে নেয়, তা হেনস্তার মতো মনে হয়েছে। এ নিয়ে জানতে চাইলে এডিসি বলেন, আমার জানা মতে মঈন খানের সঙ্গে কোনো প্রকার মানহানিকর আচরণ করা হয়নি। পুলিশ সদস্য যারা ছিলেন, তারা পেশাদারত্বের পরিচয় দিয়েছেন। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, তার ব্যক্তিগত ঝুঁকির কথা চিন্তা করে তাকে এখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা তাকে পুলিশি হেফাজতের মধ্য দিয়ে সরিয়ে দিয়েছি।
মঈন খানকে ঝুঁকির বিষয়টি জানানো হয়েছিল কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পরে তাকে জানানো হয়েছে। তার ব্যক্তিগত ঝুঁকি ছিল।
এডিসি মির্জা সালাউদ্দিন বলেন, বিএনপির কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচির কোনো অনুমতি ছিল না। রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য ডিএমপি কমিশনারের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু তারা এখানে পতাকা মিছিলের জন্য কোনো প্রকার অনুমতি নেননি। তারা এখানে বেআইনিভাবে সমাবেশ করতে চেয়েছিলেন। আমরা তা ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছি। এখান থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা এটি করেছি।
কর্মসূচির অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে এডিসি বলেন, এটি একটি আবাসিক এলাকা। এটি এভিনিউ রোড, কিছু কমার্শিয়াল স্পেসও রয়েছে। এখানে জনমানুষের জানমালের নিরাপত্তার বিষয়ে বিবেচনা করেই কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া হয়নি।