ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাকিস্তান সফরে গেছেন। গাজা যুদ্ধের মধ্যেই দেশ দুটির মধ্যে হামলা পাল্টা হমালার ঘটনা ঘটে।অবনতি হয় কূটনৈতিক সম্পর্কের। ধারনা করা হচ্ছে, নিজেদের ঝগড়া মেটাতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই সফর। খবর আল জাজিরার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমিরআবদুল্লাহিয়ান সোমবার ভোরের আগেই ইসলামাবাদে পৌঁছান। তিনি পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলিল আব্বাস জিলানির সঙ্গে গভীর আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছে ইসলামাবাদ।
চলতি মাসের শুরুতে দুই দেশ একে অন্যের ওপর বিমান হামলা চালায়। সেই থেকেই তেহরান ও ইসলামাবাদের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। একইসঙ্গে উভয়পক্ষ সমাধানের পথ খুঁজছে।
দুই দেশই দাবি করে, তারা সীমান্ত অঞ্চলে জঙ্গিদের ওপর হামলা চালিয়েছে। দুই দেশের হামলায় অন্তত ১১ জনের প্রাণ গেছে। গাজায় ইসরায়েলের হামলার মধ্যেই দুই দেশের দ্বন্দ্বে জড়ানোর বিষয়টি অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলে।
দুই মন্ত্রী তাদের বৈঠকের পর জোর দিয়ে বলেন, পাকিস্তান ও ইরানের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এ অঞ্চলের জন্য স্থিতিশীলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস এবং তারা রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা প্রসারিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দুই মন্ত্রীই একে অপরের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধার কথা বলেন।
তেহরান ও ইসলামাবাদ একসঙ্গে সন্ত্রাসবাদের হুমকি মোকাবিলায় সম্মত হয়েছে, বিশেষ করে দুই দেশেরই সীমান্তের পার্বত্য অঞ্চলে। তারা অঞ্চলগুলোকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, সীমান্ত অঞ্চলে জঙ্গিদের সমর্থন দিচ্ছে তৃতীয় কোনো দেশ।
তিনি পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার-উল-হক কাকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি শিগগিরই পাকিস্তান সফর করবেন বলেও জানান তিনি।