পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকার কোনোভাবেই আদালতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। কোথাও করাটা সমীচীন নয়।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ১২ জন সিনেটর সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়ে ড. ইউনূসকে হয়রানি না করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাওয়া হয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নয়, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি যথাযথ সম্মান জানিয়ে বলতে চাই, এখানে সরকার কোনো মামলার পক্ষ নয়, মামলায় তার শাস্তি হয়েছে। সরকার তো আদালতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। সিনেটররা যদি সে রকম চিঠি দিয়ে থাকেন, তাহলে তারা বলছেন আদালতে হস্তক্ষেপ করার জন্য। সরকার কী আদালতে হস্তক্ষেপ করতে পারে? এটি করা কী সমীচীন? আমাদের দেশে এটা করা হবে না। কোথাও করাটা সমীচীন নয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, ন্যাম সম্মেলনে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। আমি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য বলেছি। তাদের আগ্রহ আছে বলেও মনে হয়েছে। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য আর আগের পর্যায়ে নেই। বাণিজ্য আমরা আরও সম্প্রসারণ করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, উগান্ডা একটা খুব সুন্দর দেশ। সেই দেশের মানুষ অত্যন্ত চমৎকার। আমার নির্বাচনী এলাকার লোকদের সঙ্গেও দেখা হয়েছে। সেখানে নিরাপত্তার সমস্যা নেই। দেশটির ল্যান্ডস্কেপও খুব সুন্দর। কৃষিখাতে সেখানে সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা সেই সুযোগও নিতে পারি।
আরেক প্রশ্নের উত্তরে হাছান মাহমুদ বলেন, উগান্ডায় ১৭টি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছি। আরও ১৭ জনের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছি। তারা সবাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এসব দেখে রিজভী (বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী) সাহেবের মাথা খারাপ হয়ে গেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ১৯-২০ জানুয়ারি উগান্ডায় জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের ১৯তম শীর্ষ সম্মেলন এবং ২১-২২ জানুয়ারি ৭৭ জাতি গ্রুপ ও চীনের তৃতীয় দক্ষিণ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
দেশে ফিরে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন তিনি।
ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) এম খুরশেদ আলম।