শুরুতে ব্যাট করতে নেমে খুব বড় রান পেলো না দুর্দান্ত ঢাকা। কনকাশন সাব হিসেবে খেলতে নেমে রান করলেন লাসিথ ক্রুসপুল।অল্প রান তাড়া করতে নেমে মাঝে বিপদের শঙ্কা জেগেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সেরও। কিন্তু পরে তানজিদ হাসান তামিম ও শাহাদাৎ হোসেন দীপু জুটি গড়েন। জয়ও পায় তাদের দল।
সোমবার মিরপুরে বিপিএলের ম্যাচে দুর্দান্ত ঢাকাকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রান করে ঢাকা। জবাব দিতে নেমে ১০ বল হাতে রেখে আসরে দ্বিতীয় জয় পায় চট্টগ্রাম।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই উঠে যেতে হয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে আসা দানুশকা গুনাতিলাকাকে। আল আমিন হোসেনের বাউন্সার তার হেলমেটে গিয়ে লাগে। মুখে রক্ত নিয়ে মাঠ ছাড়েন লঙ্কান ব্যাটার।
ওই ওভারে না পারলেও পরের ওভারে উইকেট এনে দেন আল আমিন। ৯ বলে ৯ রান করে নাজিবউল্লাহ জাদরানের বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন সাইফ হাসান। এরপর মোসাদ্দেক হোসেনও ব্যর্থ হন। ৬ বলে কোনো রান করতে পারেননি তিনি।
একই ওভারে দুই ব্যাটার নাঈম শেখ ও অ্যালেক্স রসকে সাজঘরে ফেরান নিহাদউজ্জামান। এরপর গুনাতিলাকার কনকাশন সাব হিসেবে উইকেটে আসেন লাসিথ ক্রুসপুল। তিনিই পরে দুর্দান্ত ঢাকার হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩১ বলে ৪৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ২৬ বলে ২৭ রান করেন ইরফান শুক্কুর।
এছাড়া শেষদিকে নামা তাসকিন আহমেদের ব্যাটেও ৯ বলে আসে ১৫ রান। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে দুর্দান্ত বল করেন আল আমিন হোসেন। ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ ১৫ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন তিনি। দুটি করে উইকেট পান বিলাল খান ও নিহাদ।
রান তাড়ায় নেমে প্রথম পাঁচ বলেই ১৯ রান পেয়ে যায় চট্টগ্রাম। কিন্তু শেষ বলে এসে তারা হারিয়ে ফেলে আভিশকা ফার্নান্দোর উইকেট। ৬ বলে ১২ রান করা এই ব্যাটারকে এলবিডব্লিউ করেন শরিফুল ইসলাম। পরের ওভারে এসেও উইকেট এনে দেন তিনি। এবার ৩ বলে ১ রান করা ইমরানুজ্জামানকে আউট করেন।
২৮ রানে দুই উইকেট হারিয়ে ফেলা দলের হাল ধরেন দুই তরুণ ব্যাটার শাহাদাৎ হোসেন দীপু ও তানজিদ হাসান তামিম। এ দুজনের ৫৩ রানের জুটিতে পথ খুঁজে পায় চট্টগ্রাম। ৩১ বলে ২২ রান করে উসমান কাদিরের বলে দীপু ফিরলে এই জুটি ভাঙে। তবুও দলের ইনিংস টেনে নিচ্ছিলেন তানজিদ হাসান তামিম।
এক রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। ৪০ বলে ৪৯ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। তাতে অবশ্য জিততে সমস্যা হয়নি চট্টগ্রামের। ১৯ বলে ৩২ রান করে জয় নিশ্চিত করেন নাজিবউল্লাহ জাদরান।