দারুণ বোলিংয়ে রংপুর রাইডার্সের দেওয়া লক্ষ্যটা হাতের নাগালেই রাখেন বোলাররা। তা পাড়ি দিতে খুব বেশি অসুবিধা হয়নি ফরচুন বরিশালের।রংপুরকে ৫ উইকেটে হারিয়ে বিপিএলের এবারের আসর শুরু করলো তারা।
১৩৫ রান তাড়ায় নেমে বরিশালকে উড়ন্ত শুরু এনে দেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। প্রায় চার মাস বাদে মাঠে নেমে তার ব্যাটিংয়ে ছিল আগ্রাসী ছাপ। প্রথমে ইব্রাহীম জাদরানের সঙ্গে ৩২ ও পরে মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে ৩৪ রানের জুটি গড়েন তিনি। পাঁচটি চার মারার পর অষ্টম ওভার করতে আসা মোহাম্মদ নবিকে ছক্কা হাঁকান বাঁহাতি এই ওপেনার। কিন্তু এর পরের বলে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে স্টাম্পিংয়ের শিকার হলে থামে তার ২৪ বলে ৩৫ রানের ইনিংস।
তামিম আউট হওয়ার পর বরিশালের রানের গতি কিছুটা কমে যায়। একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু সাকিবের আর্মার বোল্ড হয়ে ২৭ বলে ২ চারে ২৬ রানে ফেরেন তিনি।
শেষে শোয়েব মালিককে সঙ্গে নিয়ে ৫ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ১১ বলে ২ ছক্কায় ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন। অন্যদিকে ১৭ রানে অপরাজিত থাকার পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন মালিক। আজকের ম্যাচের আগে কেবল ৭ রান দূরে ছিলেন তিনি। রংপুরের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন হাসান মুরাদ ও সাকিব আল হাসান। একটি শিকার মোহাম্মদ নবির।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ১৩৪ রান করে রংপুর। ইনিংসের প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন ব্রেন্ডন কিং। মোহাম্মদ ইমরানের ফুলার ডেলিভারিতে কিছু বুঝে উঠার আগেই স্টাম্প হারিয়ে ফেলেন ক্যারিবিয়ান ওপেনার। পরের ওভারে রনি তালুকদারকে তুলে নেন খালেদ আহমেদ। একই ওভারে বড় মাছ শিকার করেন ডানহাতি এই পেসার।
ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর আজই প্রথম মাঠে নামেন সাকিব। কিন্তু ৩ বলে ২ রান করে খালেদের বলে বোল্ড হন তিনি। পাওয়ার প্লের ভেতরই আফগান অলরাউন্ডার আজমতউল্লাহর ওমরজাইকে হারিয়ে আরও চাপে পড়ে রংপুর।
নুরুল হাসান সোহান ও শামীম হোসেন কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন বটে। কিন্তু নিজের প্রথম ওভারেই ৩৪ রানের এই জুটি ভাঙেন সদ্য বিবাহিত শোয়েব মালিক। তার বলে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমকে ক্যাচ দেন সোহান। ২৩ বলে ২ চারে ২৩ রান করেন রংপুর অধিনায়ক। শামীমও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ৩৩ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ৩৪ রান করেন এই বাঁহাতি। শেখ মাহাদীর ১৯ বলে ৪ চার ও ১ছক্কায় ২৯ রানে একশ পার করে করে রংপুর।
বরিশালের হয়ে ৩১ রানে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন খালেদ। এছাড়া মেহেদী হাসান মিরাজ দুটি এবং একটি করে শিকার ইমরান, দুনিথ ওয়েলালাগে, ও শোয়েব মালিকের।