সরাসরি সম্প্রচার চলাকালে টিভি স্টুডিওতে ঢুকে পড়ল বন্দুকধারী। গতকাল (৯ জানুয়ারি) ইকুয়েডরের গুয়াইকিল শহরে টিসি নামের এক টেলিভিশন স্টেশনে এ ঘটনা ভয়াবহ ঘটনা ঘটে।
অনুষ্ঠান চলাকালে কয়েকজন বন্দুকধারী সেটে ঢুকে কর্মীদের মেঝেতে শুয়ে ও বসে পড়তে বাধ্য করে। এই সময় গুলির শব্দও শোনা যায় এবং সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। খবর বিবিসি।
এর আগে এক দুর্ধর্ষ গ্যাং লিডার দেশটির কারাগার থেকে পালিয়ে গেলে গত সোমবার ৬০ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করে প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়া।
দেশটির পুলিশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, টেলিভিশন স্টেশনটি থেকে কর্মীদের বের করে আনা হয়েছে। সন্দেহভাজন কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ত্রাসীরা টেলিভিশন স্টেশনটি দখলে নেওয়ার প্রায় আধা ঘণ্টা পর পুলিশ সদস্যদের ওই স্টুডিওতে ঢুকতে দেখা যায়।
মাদক পাচার, খুনসহ সংঘবদ্ধ অপরাধের দায়ে তার ৩৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ মাদক চক্র লস ক্রোনেরসের হোতা হোসে অ্যাডলফো মাসিয়াস গত রোববার কারাগার থেকে পালিয়ে যায়। ৪৪ বছর বয়সী মাসিয়াস ‘ফিতো’ নামেও পরিচিত।
এর আগে দিন উপকূলীয় শহর মাচালা, রাজধানী কুইটো ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ লস রিয়সে বিস্ফোরণ ঘটায় অপরাধী চক্রটি। কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকেও অপহরণ করে তারা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সন্ত্রাসীরা প্রেসিডেন্টের উদ্দেশে বলছেন, আপনি যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন, আপনি যুদ্ধই পাবেন।
গত বছরের নভেম্বরে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন তরুণ ব্যবসায়ী ও রাজনীতিক নোবোয়া। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নকেই অগ্রাধিকার দিয়ে আসছেন তিনি।