ভারতে সোমবার লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে ৭৮ জন বিরোধী এমপিকে বরখাস্ত (সাসপেন্ড) করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার ১৪ জন বরখাস্ত হন।মঙ্গলবার আরও ৪৯ এমপিকে বরখাস্ত করা হলো।
সব মিলিয়ে মোট বিরোধী ১৪১ এমপি বরখাস্ত হলেন। সংসদের উভয় কক্ষের এ এমপিদের চলতি শীতকালীন অধিবেশনের শেষ পর্যন্ত বরখাস্ত করা হয়েছে। খবর এনডিটিভির।
লোকসভায় নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে সরব হয়েছিলেন বিরোধী এমপিরা। তাতেই উত্তাল হয় সংসদের উভয় কক্ষ। পরপর বিরোধী এমপিরা বরখাস্ত হন এ ঘটনায়। এ আবহে বিরোধীরা পালটা তোপ দেগেছে বিজেপিকে। সংসদ ভবনে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে বিরোধীরা।
কংগ্রেস বলছে, কোনো অর্থপূর্ণ আলোচনা ছাড়াই স্বৈরাচারী সব বিল পাস করানোর লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকার এ পদক্ষেপ নিয়েছে। এ নতুন সংসদ ভবন আদতে নমোতন্ত্রের প্রতীক, গণতন্ত্রের নয়।
আইপিসি ও সিআরপিসির বদলে ভারতীয় ন্যায় সংহিতাসহ নতুন তিনটি বিল পাস করাতে মরিয়া সরকার। মঙ্গল বা বুধবারই সেসব বিল পাস করানো হতে পারে। এ আবহে পরপর বিরোধী এমপিদের বরখাস্ত করা হচ্ছে।
এদিকে বিরোধীদের পালটা তোপ দেগেছেন মোদি। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নাকি বলেন, কিছু কিছু দল ইতিবাচক কাজ করবে না বলে বদ্ধপরিকর। এই এমপিরা সংসদে ফিরতে চান না। বিরোধীরা যদি এ ধরনের আচরণ বজায় রাখেন, তাহলে পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনে এ সংখ্যক এমপিও নির্বাচিত হবেন না। সংসদে কিছু লোক আছে যারা ইতিবাচক কাজ করতে চান। আর কয়েকজন আছেন, যারা তাতে শুধু বাধা দিতে চান।
প্রধানমন্ত্রী মোদি নাকি বলেন, বিরোধীদের মূল লক্ষ্য হল সংবিধান ও সংসদীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করা। এটি খুবই দুঃখজনক বিষয়। তবে দল হিসেবে বিজেপি ইতিবাচক কাজ চালিয়ে যাবে। সংবিধান এবং সংসদীয় নিয়মকানুন, নিষেধাজ্ঞা মেনে চলবে বিজেপি। জনগণ আমাদের ওপর যে আস্থা রেখেছে, আমরা তা সম্মান করে কাজ চালিয়ে যাব।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩
আরএইচ