ইউক্রেনের খেরসনে নোভা কাখোভকা জলবিদ্যুৎকেন্দ্রের বাঁধ ধ্বংসের পর বিশাল এলাকা প্লাবিত হওয়ায় নতুন একটি শঙ্কার কথা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থা রেডক্রস। সংস্থাটি বলছে, যুদ্ধকবলিত এসব এলাকায় প্রচুর মাইন পুঁতে রাখা হয়েছিল। বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সেগুলোর অবস্থান শনাক্ত করা যাচ্ছে না। এর ফল ভয়ংকর হতে পারে।
সম্প্রতি ইউক্রেনের কাখোভকায় বিস্ফোরণের ফলে বাঁধের একাংশ ভেঙে যাওয়ায় নিপ্রো নদীর পানি ঢুকে বিস্তীর্ণ এলাকা ভাসিয়ে দেয়। এতে নদী–তীরবর্তী রাশিয়া ও ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকার ৪২ হাজার মানুষ বন্যার কবলে পড়েছেন। ইউক্রেনের সরকারি কর্মকর্তারা আভাস দিয়েছেন, বৃহস্পতিবার নিপ্রোর পানি আরও তিন ফুট বাড়বে এবং আরও নতুন এলাকা প্লাবিত হবে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে রেডক্রসের কর্মকর্তা এরিক টোলেফসেন বলেন, এসব মাইন যে শুধু খেরসনের বাসিন্দাদের কাছে বিপদের কারণ, তা–ই নয়, বাইরে থেকে যাঁরা সাহায্য করার জন্য আসছেন, তাঁদের জন্যও বিপদের কারণ।
এরিক আরও বলেন, ‘আগে আমরা জানতাম, মাইনগুলো কোথায় আছে। এখন শুধু জানি, এগুলো পানির নিচে কোথাও আছে।’
ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর সাউদার্ন কমান্ডের মুখপাত্র নাতালিয়া হুমেনিউক বলেছেন, রাশিয়া অধিকৃত এলাকা থেকে মাইনগুলো ভেসে গেছে এবং এখন সেগুলো ভাসমান মাইনে পরিণত হয়েছে। এসব মাইন ঘোর বিপদের কারণ।
সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, নিপ্রোর পানিতে ৩০টি শহর ও গ্রাম ভেসেছে। এর মধ্যে ২০টি শহর ও গ্রাম ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে আছে, বাকি ১০টি রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। ইউক্রেনের এলাকায় ১৭ হাজার ও রাশিয়ার এলাকায় ২৫ হাজার মানুষের সাহায্য দরকার। খেরসন শহরে দুই হাজার বাড়ি পানির তলায় চলে গেছে।