দেশের নির্বাচন বানচালের উদ্দেশ্যে একটি বিশেষ মহল পরিকল্পিতভাবে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ও সতর্ক থাকতে হবে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গণতন্ত্র পরিষদ আয়োজিত ‘মহান বিজয় দিবস ও জিয়াউর রহমান এবং বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদু বলেন, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার জন্যই বাংলাদেশ অর্জিত হয়েছে। কিন্তু গত ৫৪ বছরে গণতন্ত্র বারবার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, আবার হারিয়েছে। আজও নানাভাবে গণতন্ত্র নিয়ে সন্দেহ ও বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে। একটি বিশেষ মহল এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে, যাতে দেশে নির্বাচন না হয়।
তিনি আরও বলেন, এ অবস্থায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ও ঐক্যবদ্ধ থাকা জরুরি। ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত স্বার্থে বিভক্ত হলে দেশের ক্ষতি হবে। যদি কোনো কারণে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হয়, তাহলে লাভবান হবে স্বৈরাচারী শক্তি ও পার্শ্ববর্তী দেশ; বাংলাদেশের জনগণের কোনো লাভ হবে না।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, অতীতে যেমন একটি গণহত্যাকারী দল ছিল, ঠিক তেমনি ‘২৪’-এ আরেকটি গণহত্যাকারী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। এই দুই শক্তির চরিত্র, লক্ষ্য ও কর্তৃত্ব এক। বিএনপি লড়াইয়ের দল, গণতন্ত্রের দল এবং জনগণের সমর্থিত দল। ভালো মানুষের মুখোশ পরে কেউ বিভ্রান্তি ছড়াতে চাইলে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। যে কোনো ভুল সিদ্ধান্ত দেশকে ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিতে পারে।
তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন আল্লাহ যেন তাকে সুস্থ-সবল অবস্থায় জাতির মাঝে ফিরিয়ে আনেন।
এছাড়া তিনি বলেন, আগামী ২৫ তারিখে দলের নেতা দেশে আগমন করবেন। এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে সকল নেতাকর্মী ও জনগণকে প্রস্তুতির আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ গণতন্ত্র পরিষদের সভাপতি মুক্তার আখন্দের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, সহ-স্থানীয় বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আখতার, সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ নুর আফরোজ জ্যোতি, আব্দুর রহিম, জাসাসের যুগ্ম আহ্বায়ক লিয়াকত আলী এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।