পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, চরে উৎপাদিত কৃষিপণ্য কীভাবে বিপণন করা যায় সে বিষয়ে আরও ভাবতে হবে। চরের দিকে আরও নজর দিতে হবে।
সম্প্রতি ‘মেকিং মার্কেট ওয়ার্ক ফর দ্য চরস (এমফোরসি)- ২য় পর্যায় শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংগঠন সুইস কন্ট্যাক্ট, পল্লী উন্নয়ন একাডেমি বগুড়া এবং ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্সের যৌথ উদ্যোগে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘চরাঞ্চলের উন্নয়ন ও সম্ভাবনা: চরের জন্য জাতীয় বাজেট’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন: দেশের চরাঞ্চল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন নদীবক্ষে অনেক উৎপাদনশীল চর রয়েছে। যেসব চরে ভুট্টা, মরিচ, তরমুজ, আলু প্রচুর পরিমাণে উৎপাদন হয়। এ ধরনের চরের কৃষি ও কৃষকের প্রতি আরও নজর দেওয়া হলে আরও ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণও, ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্স এবং উন্নয়ন সমন্বয়-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. আতিউর রহমান। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন এবং সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য।
মূল প্রবন্ধে ড. আতিউর রহমান বলেন, চরাঞ্চলের অমিত সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে সকল অংশীজনকে একসঙ্গে কাজ করে যেতে হবে। একইসঙ্গে চরবাসীর চাহিদাগুলোকে সামনে আনার কাজ অব্যাহত রাখতে হবে যাতে করে বাস্তবভিত্তিক ও সময়োচিত উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা যায়।
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মো. মশিউর রহমানের স্বাগত বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে সেমিনার শুরু হয়। স্বাগত বক্তব্যের পর বক্তব্য প্রদান করেন সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার সৈয়েদা জিনিয়া রশিদ।