ভারতের দক্ষিণী সুন্দরী সৌন্দর্যর মৃত্যুরহস্যে চাঞ্চল্যকর মোড় নিয়েছে। বিমান দুর্ঘটনায় অভিনেত্রী সৌন্দর্যের খুঁজে পাওয়া যায়নি দেহের অবশিষ্টাংশও।এমন মৃত্যুর ২২ বছর পার হয়ে যাওয়ার পর এবার নাম জড়াল বিখ্যাত অভিনেতার।
অন্ধ্রপ্রদেশের খাম্মাম জেলায় মোহন বাবুর নামে একটি অভিযোগ জমা পড়েছে। আর তাতে দাবি করা হয়েছে, অভিনেত্রী সৌন্দর্যর মৃত্যুর সঙ্গে যোগ রয়েছে এই অভিনেতার।
সৌন্দর্যর মৃত্যু কোনও দুর্ঘটনা নয়, তাকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। খুনের নেপথ্য কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে মোহনবাবুর সঙ্গে সৌন্দর্যের সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদকে।
২০০৪ সালের ১৭ এপ্রিল বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। ওই বিমান দুর্ঘটনায় অন্ধ্রপ্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস রাজশেখর রেড্ডিও মারা যান। প্রাণ যায় সৌন্দর্যের ভাইয়েরও।
৩১ বছর বয়সে প্রাইভেট বিমান দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু হয় তার। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ভারতীয় জনতা পার্টি এবং তেলুগু দেশম পার্টির রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে করিমনগর যাচ্ছিলেন সৌন্দর্য। সেই সময়ই ভেঙে পড়ে বিমান। এমনকী সেই সময় অভিনেত্রী নাকি অন্তঃসত্ত্বাও ছিলেন। তবে এই দুর্ঘটনার পর অভিনেত্রীর পরিবার তার দেহ পর্যন্ত খুঁজে পায়নি।
মৃত্যুর আগে সবে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন সৌন্দর্য। মৃত্যুর কয়েক মাস আগে বিয়েও করেছিলেন তিনি। ২০০৩ সালে সফ্টওয়্যার এগজিকিউটিভ শ্রীধরকে বিয়ে করেন সৌন্দর্য।
২২ বছর পর দক্ষিণী সৌন্দর্যর মৃত্যুর জন্য কাঠগড়ায় তেলুগু সুপারস্টার মোহনবাবু। একব্যক্তি স্থানীয় থানায় পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ করেন, কন্নড় অভিনেত্রী সৌন্দর্যর মৃত্যুর নেপথ্যে মোহনবাবুর ষড়যন্ত্র রয়েছে।
অভিযোগকারী ব্যক্তির দাবি, সৌন্দর্য হায়দরাবাদের জলপল্লি এলাকায় ৬ একর জমি কিনেছিলেন। ওই জমি নিয়ে তার এবং মোহনবাবুর মধ্যে অনেকদিন ধরে গোলমাল চলছিল। জমি বিক্রি করার জন্য চাপ দিয়েছিলেন। এমনকী তা মানতে নারাজ ছিলেন অভিনেত্রীর ভাই অমরনাথও। অভিযোগ, অবৈধভাবে ওই জমি দখল করেন মোহনবাবু।
প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালে কন্নড় ভাষার ‘রাজধি রাজা’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন সৌন্দর্য। এরপর তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম, হিন্দি ভাষার অনেক সিনেমায় অভিনয় করেন। ১৯৯৯ সালে ‘সূর্যবংশম’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন তিনি। এতে অমিতাভের বিপরীতে অভিনয় করেন সৌন্দর্য।