২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল। মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রে মৃত্যুদণ্ড বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
বিবিসি জানিয়েছে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বার্ষিক পর্যালোচনা অনুসারে, ২০২২ সালে ২০টি দেশে মোট ৮৮৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। যা ২০২১ সালের তুলনায় ৫৩% বেশি। এর মধ্যে ইরান, সৌদি আরব এবং মিশর একাই ৯০% মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। তবে এই পরিসংখ্যান থেকে চীনকে বাদ দেয়া হয়েছে কারণ প্রতি বছর দেশটিতে হাজার হাজার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অ্যামনেস্টির প্রতিবেদন অনুসারে, গত বছর বিশ্বব্যাপী মৃত্যুদণ্ডের বৃদ্ধির জন্য প্রধানত ইরান এবং সৌদি আরব দায়ী। গত বছর ইরান মোট ৫৭৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। তার আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে এর সংখ্যা ছিল ৩১৪ জন। সৌদি আরবে মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা ২০২১ সালে ছিল ৬৫টি। তিনগুণ বেড়ে ২০২২ সালে এর সংখ্যা ১৯৬ এ গিয়ে ঠেকেছে।
মিশরে ঘটেছে বিপরীত ঘটনা গত বছর দেশটিতে ২৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়, ২০২১ সালে যার সংখ্যা ছিল ৮৩। অর্থাৎ গত বছর দেশটিতে মৃত্যুদণ্ডের হার ৭১% হ্রাস পেয়েছে। এছাড়াও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইরাকে ১১টি, কুয়েতে ৭টি, প্যালেস্টাইন অঞ্চলে ৫টি, ইয়েমেনে সংঘটিত হওয়া ৪টি মৃত্যুদণ্ডের কথাও জানিয়েছে।
গ্রুপটির সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাগনেস ক্যালামার্ড, মধ্যপ্রাচ্যের রাজ্যগুলোকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করার এবং মানুষের জীবনের প্রতি নির্মম অবহেলা প্রদর্শন করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। তিনি বলেন, “জাতিসংঘের এই নির্মম মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী দেশগুলোর ওপর চাপ বাড়িয়ে আন্তর্জাতিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার সময় এসেছে।”
বিশ্বের অন্য দেশগুলোর মধ্যে গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ জনের এবং সিঙ্গাপুরে ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। সিঙ্গাপুরে কোভিড মহামারী চলাকালীন দুই বছরের বিরতির পর ২০২২ সাল থেকে ড্রাগ অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি চালু করা হয়।