সাইবেরিয়ায় একটি রেলস্টেশনের ছাদ ধসে ১৪ নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) দেশটির রাজধানী বেলগ্রেড থেকে ৭০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত নভি সাদ শহরের ওই রেলস্টেশনে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনার পর পরই উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে। ক্রেইন ও বুলডোজারের সাহায্যে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ করেছেন তারা।
উদ্ধারকর্মীদের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে চিকিৎসক এবং অ্যাম্বুলেন্স পাঠায় প্রশাসন।
এপি জানিয়েছে, সার্বিয়ার রাষ্ট্রপতি আলেকসান্ডার ভুসিক একটি জাতীয় ভাষণে নিশ্চিত করেছেন যে ১৪ জন মারা গেছেন। যার মধ্যে একজন ৬ বছর বয়সী মেয়ে এবং উত্তর মেসিডোনিয়ার নাগরিক রয়েছে।
৩৫ মিটার লম্বা ওই ট্রেন স্টেশনের ছাদটি দিনের বেলায় ধসে পড়ে। ঘটনার পর থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। তবে নিহতদের বের করতে বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে আসে।
জরুরি ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান লুকা কেউসিক বলেন, ভারি ভারি পাথরের কারণে উদ্ধারকর্মীদের বেগ পেতে হচ্ছে। ধ্বংসস্তূপ থেকে হতাহতদের দ্রুত সরিয়ে আনা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি বিবেচনায় উদ্ধার অভিযান রাত পর্যন্ত চলতে পারে।
ঘটনাস্থল থেকে ২০০ মিটার দূরে বসবাস করা ৮৬ বছরের ভেরা বলেন, খুব গরম লাগছিল। ঘরে বাতাস প্রবেশ করাতে জানাল খুললাম। এ সময় বিকট শব্দ শুনতে পেলাম এবং ধূলিকণা উড়তে দেখলাম।
তবে হতাহতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে না বলে ধারণা সাইবেরিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আইভিকা ডেসিকের।
তানজুগ নিউজ এজেন্সিকে তিনি বলেন, নিহতদের মধ্যে পাঁচজনের সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি।
সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিলোস ভুসেভিক এ ঘটনাকে ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন, রেলস্টেশনটি ১৯৬৪ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল। ফলে এটি পুরাতন হয়ে পড়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে।
যদিও কয়েক বছর আগে স্টেশনটি দুইবার সংস্কার করা হয়েছিল। যে কারণে দুর্ঘটনার জন্য বর্তমান সরকারের প্রশাসনের দুর্নীতিকে দায়ী করেছেন সমালোচকরা। আজ শনিবার স্টেশনের সামনে বিক্ষোভ করার কর্মসূচি রয়েছে বিরোধী দলের।