রাশিয়াকে সহযোগিতা করার অভিযোগে এক ডজনের বেশি দেশের ৪০০ ব্যক্তি ও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এবারের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ভারতের ১৯টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।দুজন ভারতীয় নাগরিকও রয়েছেন এই তালিকায়। তারা হলেন বিবেক কুমার মিশ্র ও সুধীর কুমার।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের জন্য আরোপিত নিষেধাজ্ঞার চাপ এড়াতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তালিকায় থাকা সংস্থা ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাঠিয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রাশিয়াকে সাহায্য করেছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রাশিয়া, চীন, হংকং, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সুইজারল্যান্ডসহ আরও কয়েকটি দেশের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ ২৭৪টি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর এবং পররাষ্ট্র দপ্তর ১২০টিরও বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ ছাড়া বাণিজ্য বিভাগ ৪০টি কোম্পানি এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর প্রতি তাদের কথিত সমর্থনের জন্য একটি বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত করেছে।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি হলো ‘অ্যাসেন্ড অ্যাভিয়েশন ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড’। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ মার্চ পর্যন্ত তারা রাশিয়াভিত্তিক সংস্থাকে ৭০০ – এর বেশি সামরিক যন্ত্রাংশসহ বিভিন্ন পণ্য সরবরাহ করেছে। সেগুলোর মধ্যে যুদ্ধ পরিচালনার ক্ষেত্রে জরুরি দুই লাখ ডলারের বেশি কমন হাইপ্রায়োরিটি তালিকাভুক্ত (সিএইচপিএল) পণ্য রয়েছে।
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত দুই ভারতীয় নাগরিক এই সংস্থার পরিচালক পদে রয়েছেন।
এছাড়া সিএইচপিএল পণ্য সরবরাহ করেছে আরেকটি ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মাস্ক ট্রান্স। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা রাশিয়ার সংস্থাকে তারা তিন লাখ ডলার মূল্যের সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে। নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা আরেক প্রতিষ্ঠান টিএসএমডি, তারা ৪ লাখ ৩০ হাজার ডলারের পণ্য রাশিয়ায় পাঠিয়েছে।
মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের ডেপুটি সেক্রেটারি ওয়ালি আদেয়েমো বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার অবৈধ এবং অনৈতিক যুদ্ধ চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং প্রযুক্তির প্রবাহ বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা এই পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে।