টগি ফান ওয়ার্ল্ডে ‘স্পুকট্যাকুলার সোয়রে ৩.০’ হ্যালোইন উৎসব

টগি ফান ওয়ার্ল্ডে ‘স্পুকট্যাকুলার সোয়রে ৩.০’ হ্যালোইন উৎসব

তরুণ প্রজন্মকে ভৌতিক ও রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা দিতে টগি ফান ওয়ার্ল্ডে আয়োজিত হয়েছে ‘স্পুকট্যাকুলার সোয়রে ৩.০’ নামে ভিন্নধর্মী এক হ্যালোইন উৎসব।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের টগি ফান ওয়ার্ল্ডে এই হ্যালোইন উৎসব উদযাপিত হয়।

টগি ফান ওয়ার্ল্ড ও বিডি কসপ্লেয়ার যৌথভাবে এই উৎসবের আয়োজন করে।

এ দিন বিকেল থেকেই বিচিত্র সাজে টগি ফান ওয়ার্ল্ডে আসতে শুরু করেন পপকালচার অনুসারী অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীরা। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে টগি ফান ওয়ার্ল্ডে নেমে আসে এক ভৌতিক পরিবেশ।

আয়োজকরা জানান, ‘স্পুকট্যাকুলার সোয়রে ৩.০’ তৃতীয় আয়োজনে হ্যালোইন উৎসবে কসপ্লেয়ারদের ভৌতিক উপস্থাপনায় টগি ফান ওয়ার্ল্ড হয়ে ওঠে রোমাঞ্চকর। পাশাপাশি ছিল অংশগ্রহণকারীদের ফেস পেইন্ট, রহস্যময় ফরচুন টেলার, গেইম, বিভিন্ন ধরনের খাবারের স্টল। টগি ফান ওয়ার্ল্ডের জনপ্রিয় গেইম ‘এসকেপ রুম’ কসপ্লেয়ারদের পারফর্মেন্সে বাড়তি মাত্রা যোগ করে।

উৎসব উপলক্ষে বসুন্ধরা সিটি এবং বিশেষ করে টগি ফান ওয়ার্ল্ড সাজানো হয় হ্যালোইন উৎসবের আমেজে। সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয় মিট অ্যান্ড গ্রিট উইথ সেলিব্রেটি কসপ্লেয়ারস। এতে ভুতুড়ে বিভিন্ন পোশাক পরে টগি ফান ওয়ার্ল্ডের লেভেল থার্টিনে অংশ নেন বিভিন্ন সেলিব্রেটি কসপ্লেয়ারস। তারা ভিন্ন ভিন্ন কল্পচরিত্রের সাজপোশাকে চমক দেন দর্শকদের।

এ ছাড়া টগি ফান ওয়ার্ল্ডের বিভিন্ন সেলফি বুথ এবং খাবার সাজানো হয় হ্যালোইন উৎসব মাথায় রেখে।

এ বিষয়ে টগি ফান ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপক (অপারেশন) মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের এই হ্যালোইন প্রোগ্রামটা শুরু হয়েছে বিকেল ৩টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। এ ছাড়া টগি ফান ওয়ার্ল্ড খোলা থাকবে রাত ১১টা পর্যন্ত। আমাদের টগি ফান ওয়ার্ল্ডের প্রতি জনের প্রবেশ মূল্য ১৫০ টাকা। সেই সঙ্গে কেউ যদি হ্যালোইন প্রোগ্রামটা উপভোগ করতে চায়, তাহলে প্রবেশ মূল্যের সঙ্গে ১০০ টাকা যোগ হবে। এই হ্যালোইন প্যাকেজে আমরা কম্প্লিমেন্টরি ওয়েলকাম ড্রিংস দিচ্ছি। সেই সঙ্গে ১৩ তলায় যেসব আর্কেড গেইম আছে সেটা উপভোগ করতে পারবে। এ ছাড়া মুখ রং করতে পারবে, ট্যারোট কার ও প্লাম রাইডিং করতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, সন্ধ্যা থেকে হ্যালোইন উৎসবে দর্শনার্থীদের ভিড় শুরু হয়। রাতে সেই ভিড় আরও বাড়ে। প্রতি বছরের মতো এই বছরও আমরা ভালো সাড়া পেয়েছি। অনুষ্ঠানটা অনেক মজাদার করে করা হয়। কসপ্লেয়াররা অংশগ্রহণ করেছেন। তারা নিজ দায়িত্বে অনেক আনন্দ করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন ক্যারেক্টারের পোশাক পরে অনুষ্ঠানটা আরও উপভোগ্য করে তোলেন।

হ্যালোইন উৎসবে ঢাকার অদূর সাভার থেকে এসেছেন জারিফ হোসেন। তিনি নিজেকে ব্যাটম্যান সাজে সাজিয়েছেন। বাংলানিউজকে জারিফ বলেন, ব্যাটম্যান সবার কাছে পরিচিত। হ্যালোইনের সঙ্গে ব্যাটম্যান থিমটা যায়। ওই ক্যারেক্টারটা ডার্ক সিটির প্রোটেক্টর। আমি এমন একটি ক্যারেক্টার সাজতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। অন্যান্য কসপ্লেয়াররাও ভালো ভালো ক্যারেক্টার সেজেছেন। তাদের সঙ্গে কো-অপারেট করে খুবই ভালো লাগছে। এটা আমার তৃতীয়বারের মতো কসপ্লেয়ার সাজা। শিশুরা প্রথমে আমাকে ভয় পেলেও কিছুক্ষণ পর আবার এসে ছবি তুলছে।

আরেক চরিত্রে সাজা হামজা ইউসুফ বলেন, এখানে সবাই খুব আনন্দ করছে এবং আমাদের সঙ্গে ছবি তুলছে। এতে আমাদের খুবই আনন্দ হচ্ছে। এইখানে আমরা সবাই নানা ধরনের ভৌতিক সাজে সেজেছি। একেকজন একেক ধরনের সাজ নিয়েছি। এখানে সবাই নিজের পছন্দের চরিত্রের সাজ সেজে এসেছেন।

উৎসবে আনন্দে মেতে উঠেছে শিশু-কিশোররা। পরিবারের সঙ্গে হ্যালোইন উৎসব দেখতে এসেছে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আনিকা। সে বলে, আমার অনেক ভালো লাগছে। অনেক আনন্দ করছি। সবার সঙ্গে ছবি তুলেছি। আরও তুলব। এর আগেও এসেছি।

শিশু-কিশোরদের সঙ্গে হ্যালোইন উৎসবে অভিভাবকরাও মেতে উঠেছেন। চার বছরের ছেলে আহানকে নিয়ে এসেছেন রাজীব হাসান। তিনি বলেন, অনেক আনন্দ করছি। এটা আমার তৃতীয় বারের মতো হ্যালোইন উৎসবে আসা। আগে দুইটা ভেন্যুর তুলনায় এবার টগি ফান ওয়ার্ল্ডের আয়োজন বেশি ভালো লেগেছে। যারা কসপ্লেয়ার, তারা বেশ ট্যালেন্টেড। আমার সন্তানও খুবই আনন্দ করছে। সবার সঙ্গে ছবি তুলছি, আনন্দ করছি।

হ্যালোইন সাধারণত পশ্চিমা দেশগুলোতে উদযাপন করা হয়। তবে ইদানীং বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যেও উৎসবটি ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023 EU BANGLA NEWS