মা ইলিশ সংরক্ষণে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে কেমন অভিযান চলছে, তা ঘুরে দেখেছেন এবং তদারকি করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকালে স্পিডবোটে করে নদীতে তিনি এ তদারকি করেন।
জানা যায়, এদিনে তিনি মাওয়া ঘাট থেকে ভোলা সদরের ইলিশা ঘাটের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। যাত্রাপথে তিনি চাঁদপুর, শরীয়তপুর, বরিশাল ও ভোলা জেলার পদ্মা ও মেঘনা নদীতে অবস্থিত ইলিশ অভয়াশ্রম এলাকাসহ মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের কার্যক্রম তদারকি করেন।
এসময় উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, যুগ্মসচিব মো. হেমায়েত হোসেন, উপদেষ্টার সহকারী একান্ত সচিব মোহাম্মদ আলী আকবর, তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন হাসান এবং উপদেষ্টার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে ইলিশের অভয়াশ্রম পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান, সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আল ইমরান খান, চাঁদপুর নৌ অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহম্মেদ, কোস্টগার্ড চাঁদপুরের স্টেশন কমান্ডার ফজলুল হকসহ অনেকে।
এ বিষয়ে চাঁদপুর নৌ অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহম্মেদ বলেন, উপদেষ্টা ইলিশ সংরক্ষণ ও অভয়াশ্রম এলাকার কার্যক্রম তদারকি করেছেন। ১৩ অক্টোবর থেকে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর বিচরণক্ষেত্রে মাছ ধরা নিষেধ। নিষেধাজ্ঞা মা ইলিশের প্রজনন নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশের মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
প্রধান প্রজনন মৌসুমে নিরাপদে ইলিশের ডিম ছাড়া ও প্রজনন নিশ্চিত করতে এ ২২ দিন ইলিশ ধরা, মজুদ, বিনিময়, বিক্রি, পরিবহন ও সরবরাহ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে সর্বোচ্চ দুই বছরের জেল বা বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে। এজন্য নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের জন্য নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে জেলা-উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য অফিস, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশের যৌথ টাস্কফোর্স। এ অভিযান পর্যবেক্ষণ করার জন্য নদী এলাকা ঘুরে দেখলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।