বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সংস্কার যা প্রয়োজন তা ইতোমধ্যে নির্ধারণ করা হয়ে গেছে। এখানে শুধু সংস্কারের জন্য কাজ শুরু করে দিতে হবে।সংস্কারের নামে সময় নিলে হবে না।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর লেকশোর হোটেলে সিএসও অ্যালায়েন্সের আয়োজনে ‘নাগরিক সমাজ: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক জাতীয় মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ কেমন হবে, আগামীতে কোন বিষয়ে কি করতে হবে এবিষয়ে অনেকে অনেক কথা বলেন। সবাই সবার মতামত দিতে পারবেন। কিন্তু সিদ্ধান্ত দেবার অধিকার কারো নেই, সিদ্ধান্ত নিবে জনগণ। কোনো গোষ্ঠি বা কোনো শক্তি একা বসে বাংলাদেশকে ঠিক করবে এটা কোন ভাবেই সম্ভব নায়। যদি হয়ও সেটা ভবিষ্যতের জন্য ঠিক হবে না।
আমির খসরু বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে স্বৈরাচার চলে যাবার পর মানুষের মধ্যে অনেক বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে। এখানে নাগরিক সমাজ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক, এনজিওসহ সকলের মধ্যে সংস্কার প্রয়োজন আছে। পলিটিশিয়ান সহ এনজিও দের উচিত হবে এটা ভাবা যে, কিভাবে আরো দেশকে উন্নত করা যায়। এখানে অবশ্যই নৈতিক মিল বা ঐক্য মত থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, অন্তর্বর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সিএসও অ্যালায়েন্সের আহ্বায়ক ও ক্যাম্পের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও সিএসও অ্যালায়েন্সের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, গণ সংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।