লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় কলেজছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেন হাতীবান্ধা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন্নবী।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়নের ইকো ট্যুরিজম পার্ক শালবন এলাকায় এ দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার দক্ষিণ গোতামারী এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে আব্দুর ছাত্তার, দইখাওয়া বাজার এলাকার সুলতান আহম্মেদের ছেলে রোকন, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আইয়ুব আলীর ছেলে রাকিবুল, একই এলাকার খবির আলীর ছেলে আল আমিন, নজিমুদ্দিনের ছেলে রতন মিয়া সাবু, নওদাবাস এলাকার ওছমান গনির ছেলে সুলতান হোসেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার উত্তর গোতামারী এলাকার এক কলেজছাত্রীর সঙ্গে দইখাওয়া বাজারের কসমেটিক ব্যবসায়ী ও দক্ষিণ গোতামারী এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে আব্দুর সাত্তারের প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। একপযার্য়ে ওই কলেজছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন আব্দুর সাত্তার। বন্ধুকে দিয়ে সেই দৃশ্য ভিডিও ধারণ করে রাখেন তিনি। সেই ভিডিও দিয়ে ভয় দেখিয়ে আব্দুর সাত্তার ও তার এক বন্ধু ওই কলেজছাত্রীকে পুনরায় ধর্ষণ করেন।
সেই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে গত বৃহস্পতিবার ওই কলেজছাত্রীকে নওদাবাস ইউনিয়নের ইকো ট্যুরিজম পার্ক শালবনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও আব্দুর ছাত্তার ও তার বন্ধুরা পালক্রমে ধর্ষণ করেন এবং সেদৃশ্য ভিডিও করেন। এ সময় ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে গেলে ধর্ষকরা পালিয়ে যান। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
এ ঘটনায় নির্যাতিতা ওই কলেজছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে শুক্রবার হাতীবান্ধা থানায় দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় পুলিশ শনিবার সকালে অভিযান চালিয়ে পৃথক স্থান থেকে অভিযুক্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
হাতীবান্ধা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন্নবী এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি ওই কলেজছাত্রীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।