বরিশাল নগরে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর ও লুটের অভিযোগে সাবেক পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, সাবেক দুই সিটি মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত) ও সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নামধারী ৩৬৬ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৭০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতয়ালী মডেল থানায় বরিশাল মহানগর বিএনপির ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়েছি। মামলা হিসেবে রুজু করা হচ্ছে।
মামলার প্রধান আসামি হলেন পতন হওয়া সরকারের পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও সদর আসনের সংসদ সদস্য কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম, বরিশাল সিটি করপোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত), সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, সদ্য সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর।
মামলায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১৫ কাউন্সিলরকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন- নগরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ সাইয়েদ আহমেদ মান্না, এনটিএমসির মহাপরিচালক জিয়াউল আহসানের ভাই ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লব, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ শাসুদ্দোহা আবিদ, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সামজিদুল কবির বাবু, ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুন্না হাওলাদার, ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আউয়াল মোল্লা, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর খান মোহাম্মদ জামাল হোসাইন, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন রয়েল, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইমরান মোল্লা, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এনামুল হক বাহার, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর কহিনুর বেগম, সালমা আক্তার শিলা ও আয়েশা তৌহিদ লুনা।
মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, সরকারের পতনের আগের দিন গত ৪ আগস্ট বেলা সাড়ে ১২টায় নামধারীরাসহ অজ্ঞাত ৭০০ সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে পিস্তল, শটগান, ককটেল, রামদা, চাপাতি, চায়নিজ কুড়াল, শাবল নিয়ে নগরের সদর রোডের টাউন হলের পাশে হামলা করে। তারা গুলি করে ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভীতিজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিএনপির কার্যালয়ে প্রবেশ করে টিভি, কম্পিউটার, সাউন্ড সিস্টেমসহ সাড়ে চার লাখ টাকার মালামাল ভাঙচুর করে। এছাড়া দ্বিতীয় তলার জিয়া স্মৃতি পাঠাগারে আগুন দিয়ে ছয় লাখ টাকার ক্ষতি করেছে। দলীয় কার্যালয়ের সামনে রাখা চারটি মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় লোকজন আগুন নিভাতে গেলে তাদের হুমকি দেওয়া হয়।