গাইবান্ধা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে।
মামলায় গাইবান্ধা-২ সদর আসনের সাবেক এমপি শাহ সারোয়ার কবীরসহ আওয়ামী লীগের ৯৮ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়।এছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ১৫০–১৬০ জনকে।
ঘটনার এক মাস পর সদর উপজেলার বাদিয়াখালি ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।
রোববার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা।
তিনি বলেন, গাইবান্ধা জেলা বিএনপির অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গত শনিবার রাতে রফিকুল ইসলাম নামের একজন বাদী হয়ে থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। পরে এজাহারটি থানায় মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। মামলায় ৯৮ জন নামীয় ও ১৫০ থেকে ১৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
মামলায় নামীয় ৯৮ আসামির উল্লেখযোগ্যরা হলেন, সদর আসনের সাবেক এমপি শাহ সারোয়ার কবির, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র শাহ জাহাঙ্গীর কবির মিলন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুর জামান রিংকু।
গত ১৭ অগস্ট গাইবান্ধায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়া, পালটা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় মিছিলকারীরা ইট-পাটকেল ছুড়লে পুলিশ টিয়ার সেল ছুড়তে থাকে। এক পর্যায়ে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর ও ১১টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
এর পরপরেই শহরের সার্কুলার রোডের জেলা বিএনপির অফিসে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার একমাস পর সদর থানায় মামলার এজাহার করেন যুবদল নেতা রফিকুল ইসলাম।
যদিও ঘটনার রাতেই পুলিশের ওপর হামলা ও দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর-আগুনের ঘটনায় আ. লীগ নেতাসহ পুলিশের পক্ষে সদর থানায় দুটি মামলা হয়।