পেনশন ও কোটা ইস্যুতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাম্প্রতিক দুই আন্দোলন ও তা ঘিরে চলমান কর্মসূচিগুলো সরকার সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুরে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক যৌথসভায় এ কথা জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের কোটা বাতিলের আন্দোলন চলছে। পাশাপাশি পেনশনের বিষয়ে শিক্ষকরা একটা আন্দোলন ও কর্মসূচি পালন করছেন। এই দুটি আন্দোলন ও কর্মসূচিকে আমরা সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।
তিনি বলেন, বিএনপি নিজেরা আন্দোলনে ব্যর্থ। হেরে যাওয়ার ভয়ে তারা নির্বাচনে যায়নি। তারা ২০১৮ সালেও কোটাবিরোধী আন্দোলনে ভর করেছিল। এখন আবার শিক্ষক শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ভর করে সরকার হঠাৎ দূরভিসন্ধি বাস্তবায়ন করতে চায়। শুভ তৎপরতা সম্পর্কে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, শোকের মাস আগস্ট আবারও আসছে। ১ আগস্ট থেকে আমাদের মাসব্যাপী কর্মসূচি রয়েছে। ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে এই মাসের কর্মসূচি পালনের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। ঢাকায় যারা কর্মসূচি নেবেন তারা কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে মিল রেখে করবেন।
সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক শাম্মি আহমেদ ও উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।