কেক খেতে ভালোবাসেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। অফিসে কাজের মধ্যে অনেকেই যখনই খিদে পায়, তখনই মনের ডাকে সারা দিয়ে কেক খেয়েই পেট ভরান। আর তাদের এহেন অভ্যাস দেখেই বিশেষজ্ঞদের চোখ কপালে ওঠে। তাদের কথায়, নিয়মিত কেক খাওয়া কোনো কাজের কথা নয়। এমনটা করলে আদতে শারীরিক সমস্যার ফাঁদে পড়ার আশঙ্কাই বাড়বে।
তরতরিয়ে বাড়বে মেদ-ভুড়ি
এই প্রিয় খাবারে রয়েছে মিষ্টি এবং ফ্যাটের খনি। তাই নিয়মিত হাই ক্যালোরি কেক খেলে যে ওজনের কাঁটা ঊর্ধ্বমুখী হবে, তা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই ওজনকে বশে রাখতে চাইলে যেন তেন প্রকারেণ কেক খাওয়ার লোভ সামলে চলতে হবে। বিশেষত, যাদের সেন্ট্রাল ওবিসিটি বা ভুঁড়ি রয়েছে, তারা এই মিষ্টি খাবার এড়িয়ে চলুন। না হলে শরীরে মেদের পরত পড়ুক না পড়ুক, ভুঁড়ির বহর তরতরিয়ে বাড়বেই।
হার্টের হবে দফারফা
হৃৎপিণ্ড হলো আমাদের শরীরের পাম্প। এই অঙ্গটি গোটা দেহে অক্সিজেন ও পুষ্টি সমৃদ্ধ রক্ত পৌঁছে দেয়। তাই সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে চাইলে হৃৎপিণ্ডের খেয়াল রাখতেই হবে। তবে দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, নিয়মিত কেক খেলে ট্রাইগ্লিসারাইড, সুগার এবং প্রেশারের মাত্রা ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। আর এই ত্রয়ীর আক্রমণের মুখে পড়লেই বিপদে পড়ে হার্ট বাবাজি। তাই হার্টকে সুস্থ রাখতে চাইলে এই মিষ্টি খাবারের থেকে যতটা সম্ভব দূরত্ব বজায় রাখুন।
ক্যানসারের ভ্রূকুটি
কেকে উপস্থিত মিষ্টি দেহে প্রদাহের প্রকোপ বাড়ানোর কাছে সিদ্ধহস্ত। আর শরীরে ইনফ্লামেশনের দাপট বাড়লে যে ক্যানসারের মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়বে, তা তো বলাই বাহুল্য! তাই এই মারণ রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে চাইলে নিয়মিত কেক খাওয়ার ভুলটা শুধরে নিন। তাতেই আপনার সুস্থ থাকার পথ প্রশস্ত হবে।
পিছু নিতে পারে দুশ্চিন্তা
গবেষণায় দেখা গেছে, মিষ্টি জাতীয় খাবার বেশি খেলে দ্রুত মুড পরিবর্তন হয়। এমনকি এসব খাবারের কারসাজিতে অবসাদ থেকে শুরু করে দুশ্চিন্তা, উৎকণ্ঠার মতো একাধিক জটিল মানসিক সমস্যার ফাঁদে পড়ার আশঙ্কাও বাড়ে। তাই হেসে-খেলে জীবন কাটাতে চাইলে নিয়মিত কেক খাবেন না। এই নিয়মটা মেনে চললেই ফিরবে মনের হাল।