পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোমের (পিসিওস) জন্য মেয়েদের দুই ওভারিতেই ছোট মুসরদানার আকারে বেশ কিছু সিস্ট থাকে। এর জন্যই অনেকের পিরিয়ডস অনিয়মিত হয়।কখনো এই সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয় আবার একেবারেই হয় না। মূলত ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী মেয়েদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি লক্ষ্য করা যায়। গ্রামের মেয়েদের চেয়ে শহরের মেয়েদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। ‘পিসিওস’ হওয়া মানেই কিন্তু শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হওয়া। এ কারণেই অনেক নারীর শরীরে বিভিন্ন পরিবর্তন দেখা দেয়। কোন উপসর্গে বুঝবেন আপনার ‘পিসিওস’ হতে পারে, আসুন তা জানি-
* তলপেটে মেদ বৃদ্ধি পাওয়া, ওজন বেড়ে যাওয়ার পেছনে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা বড় কারণ হতে পারে। পিসিওএস হলে কোলেস্টেরল ও শর্করার মাত্রার স্বাভাবিক তারতম্য নষ্ট হতে পারে। এর ফলে তলেপেটে মেদ বাড়ে।
* পরিশ্রম সেভাবে না হলেও যদি ক্লান্তি চেপে বসে, তা হলে সতর্ক হতে হবে। থাইরয়েড গ্রন্থি নিঃসৃত হরমোন বিপাকক্রিয়ায় সাহায্য করে। পাশাপাশি কাজ করার ক্ষমতার জন্য এই হরমোনের প্রয়োজন। কর্টিসল ও থাইরয়েড হরমোন শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। পিসিওএস থাকলে যে হেতু হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়, তাই ক্লান্তি দেখা দিতে পারে।
* পিসিওএস হলে চুল পড়ার সমস্যাতেও ভুগতে পারেন নারীরা। এতে ডিএইচটি নামে হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। এর ফলে চুল পড়ার সমস্যা তৈরি হয়।
* অনিয়মিত ঋতুস্রাব পিসিওএস’র খুব সাধারণ একটি লক্ষণ। আচমকা টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ঋতুস্রাব অনিয়িমত হয়ে পড়ে।
* অবাঞ্ছিত রোম গজিয়ে উঠতে পারে হরমোনের ভারসাম্যহীনতায়। পিসিওস’র ক্ষেত্রে নারীদের শরীরে ‘মেল হরমোন’র আধিক্য দেখা যায়। এর ফলে শরীরে অবাঞ্ছিত রোম বেড়ে যায়।
এমন সমস্যায় পড়লে জীবনচর্চায় বদল আনুন
পিসিওএস’র নিয়ন্ত্রণে দৈনন্দিন জীবনচর্চায় বদল প্রয়োজন। নিয়মিত শরীরচর্চা, স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া এবং অভ্যাসে বদল আনতে না পারলে এই রোগকে ঠেকানো মুশকিল। বাদ দিতে হবে ‘জাঙ্ক ফুড’। পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।