গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন চার কর্মকর্তা-কর্মচারী। চারটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার হিসেবে তাদের সনদপত্র এবং এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ নগদ অর্থ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী নির্বাচিতদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হামিদুর রহমান, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব জিয়াউল হক, মন্ত্রীর দপ্তরে কর্মরত ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোল্যা মো. খসরুজ্জামান, মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অধিশাখা-৬ এ কর্মরত অফিস সহায়ক মো. দেলোয়ার হোসেন।
এরপর একই স্থানে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অধীন দপ্তর ও সংস্থার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সই অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল ইসলাম গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের এবং দপ্তর ও সংস্থার প্রধানরা নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সইয়ের পর মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় মন্ত্রণালয়ের অধীন সব দপ্তর ও সংস্থার ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি তুলে ধরা হয়।
এতে দেখা যায়, সব দপ্তর ও সংস্থার মধ্যে গণপূর্ত অধিপ্তরের এডিপি বাস্তবায়নের হার সর্বোচ্চ ৯৮ শতাংশ। এক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের সামগ্রিক অগ্রগতি ৭৪ শতাংশের কিছু বেশি। এক্ষেত্রে ২০২৪ সালের মে পর্যন্ত জাতীয় অগ্রগতি ৫৭ শতাংশের কিছু বেশি।
মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে এসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এডিপি বাস্তবায়নে দপ্তর ও সংস্থাগুলোর আরও দক্ষতা, আন্তরিকতা ও দ্রুততার সঙ্গে কাজ করা উচিত বলে মন্তব্য করেন। এ ছাড়া সই হওয়া এপিএ যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সিদ্দিকুর রহমান, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি মীর মঞ্জুরুর রহমানসহ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন সব দপ্তর ও সংস্থাপ্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।