এ সময়ের আলোচিত প্রযোজক-নির্মাতা মোহাম্মদ ইকবাল। সম্প্রতি চিত্রনায়ক জিয়াউল রোশান ও চিত্রনায়িকা বুবলীকে নিয়ে দুটি সিনেমা নির্মাণ করেছেন তিনি।
‘ডেডবডি’ ও ‘রিভেঞ্জ’ নামের সিনেমা দুটিতে অভিনয় করেছেন তারা। ‘ডেডবডি’ সিনেমাটিতে রোশানের নায়িকা ছিল কলকাতার। কিন্তু সিনেমাটি মুক্তির পর প্রেক্ষাগৃহে দর্শক টানতে ব্যর্থ হয়।
রোশান-বুবলীকে জুটি করে নির্মিত ‘রিভেঞ্জ’ সিনেমাটি এবারের ঈদুল আজহায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। তবে প্রেক্ষাগৃহে দর্শক টানতে ব্যর্থ রোশান-বুবলী।
এই নায়ক-নায়িকা নিয়ে নির্মিত পরপর দুটি সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে দর্শক টানতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে পরিচালক ইকবাল নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
তার পূর্ব ঘোষিত রোশান-বুবলীকে জুটি করে ‘বিট্রে’ সিনেমাটি না বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইকবাল। নতুন জুটি নিয়ে সিনেমাটি নির্মাণ করবেন বলে জানিয়েছেন আলোচিত এই নির্মাতা। যদিও সিনেমাটির ৪০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তারপরও এই জুটি নিয়ে সিনেমাটি শেষ না করার সিদ্ধান্তে ইকবাল। এখন নতুন জুটি নিয়ে ভাবছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে ইকবাল বলেন, ‘রিভেঞ্জ’ দারুণ একটি গল্পের সিনেমা। অ্যাকশন থেকে শুরু করে একটি পরিপূর্ণ সিনেমা বলতে যা বোঝায় সবকিছু এতে আছে। রোশান-বুবলীকে জুটি করে চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম। চেয়েছিলাম দর্শকদের নতুন একটি জুটি উপহার দিতে। কিন্তু দর্শক জুটিটি পছন্দ করেনি। দর্শকদের কথা মাথায় রেখেই প্রতিটি সিনেমার নির্মাতা যত্নের সঙ্গে কাজ সম্পন্ন করেন। কিন্তু সেই দর্শকই যদি রোশান-বুবলীর জুটি পছন্দ না করে, তাহলে সিনেমাটি আমি কাদের জন্য বানাব! পরপর রোশানের দুটি এবং বুবলীর একটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু তারা দর্শক টানতে পারছে না। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি পূর্ব ঘোষিত ‘বিট্রে’ তাদের নিয়ে বানাব না। নতুন জুটি নিয়ে শিগগিরই সিনেমাটির কাজ শুরু করব।
‘রিভেঞ্জ’ সিনেমা দেখে অনেক দর্শক ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানানোর পাশাপাশি জানিয়েছেন নেতিবাচক প্রতিক্রিয়াও। কেউ কেউ জানিয়েছেন, বুবলীর কারণে ‘রিভেঞ্জ’ দেখতে চান না তারা। যার ফলে বিপাকে পড়েছেন সিনেমাটির প্রযোজক ও পরিচালক ইকবাল। এসব কথা চিন্তা করে এই জুটি নিয়ে আর সিনেমা না বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
বলে রাখা ভালো, জিয়াউল রোশান অভিনীত বেশ কিছু সিনেমা মুক্তি পেলেও এখনও কোনো সিনেমা সুপারহিটের তকমা পায়নি। অন্যদিকে, শাকিবের বলয় থেকে বেরিয়ে আসার পর বুবলীর একের পর সিনেমা মুক্তি পেলেও সবগুলো সিনেমা মুখ থুবড়ে পড়েছে। দু-একটা সিনেমা মন্দের ভালো চললেও সবগুলো সিনেমা ব্যবসায়িক ভাবে ব্যর্থ হয়েছে।