গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানকে হারিয়ে চমকে দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এরপর সুপার এইটে উঠে নতুন ইতিহাসও গড়েছিল ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সহ-আয়োজকরা।কিন্তু শেষ আটের লড়াইয়ে এসে আসল লড়াইয়ের মুখে পড়েছে তারা। প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকা, আর এবার তাদের পার্থক্যটা বুঝিয়ে দিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
আরেক সহ-আয়োজক ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিজেও সুপার এইট পর্ব শুরু করেছিল ইংল্যান্ডের কাছে হেরে। তবে সেখান থেকে তারা দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ালো। তাদের সামনে পাত্তাই পেল না যুক্তরাষ্ট্র। নিকোলাস পুরানের ছক্কার নতুন রেকর্ড গড়ার ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রকে ৯ উইকেটে হারালো ক্যারিবীয়রা।
বারবাডোজের কিংসটাউনে আজ আগে ব্যাট করে ১২৮ রান তুলতেই সব উইকেট হারিয়ে ফেলে যুক্তরাষ্ট্র। দলটির কোনো ব্যাটার ৩০-এর কোটা পেরোতে পারেননি। সর্বোচ্চ ১৬ বলে ২৯ রান করেছেন ওপেনার আন্দ্রিস গোউস। এছাড়া নিতিশ কুমার ২০ ও মিলিন্দ কুমার ১৯ রান করেছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে বল হাতে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন আন্দ্রে রাসেল ও রোস্টন চেজ। এছাড়া আলজারি জোসেফ ২টি ও গুদাকেশ মোতি নিয়েছেন ১ উইকেট।
জবাবে ১ উইকেট হারিয়েই ম্যাচ জিতে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শাই হোপ ও জনসন চার্লসের ওপেনিং জুটিতে আসে ৬৭ রান। এরপর বাকি পথ সহজেই পাড়ি দেন হোপ এবং পুরান। এর মধ্যে হোপ মাত্র ৩৯ বলে ৮২ রান করে অপরাজিত থাকেন। ব্যাট হাতে তিনি হাঁকিয়েছেন ৮টি ছক্কা ও ৪টি চার।
অন্যদিকে ১২ বলে ২৭* রান করার পথে ৩টি ছক্কা হাঁকিয়ে রেকর্ড বইয়ে নাম লিখিয়েছেন পুরান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক আসরে সবচেয়ে বেশি ছক্কা (১৭টি) মারার রেকর্ড এখন তার দখলে। আগের রেকর্ডটি তার স্বদেশী সাবেক ব্যাটার ক্রিস গেইলের দখলে ছিল। ‘ইউনিভার্স বস’ খ্যাত গেইল ২০১২ বিশ্বকাপে ১৬টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন।
হোপ ও পুরানের তাণ্ডবে ৫৫ বল হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১০০-এর বেশি রানের লক্ষ্য তাড়ায় এর চেয়ে বেশি বল হাতে রেখে জয়ের নজির আছে আর একটিই। ২০০৭ সালে কেপটাউনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫৮ বল হাতে রেখে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া।